<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাধারণ মানুষ ভেবেছিল ডিম ভারত থেকে আমদানি হলে দাম কমবে। কিন্তু চিত্র উল্টো। এখন চট্টগ্রামে প্রতি পিস ডিমের দাম বাড়ল ৪০ পয়সা। ওই হিসাবে এখন প্রতি ডজনের দাম বাড়ল চার টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি ডজনের দাম ১৪৬ টাকা ৪০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় সেটা ১৫৫-১৬০ টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা সাদা ডিমের মূল ক্রেতা বেকারিগুলো। আর সাধারণ ক্রেতাদের পছন্দ বাদামি রঙের ডিম। আর যা আমদানি হচ্ছে সেটা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ডিমের সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। শুল্কায়নসহ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামের কয়েক দিনের ডিমের পাইকারি বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে বন্যার সময় সারা দেশে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে ডিমের সরবরাহের ওপরও। চলতি বছরের ২৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ডিমের পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিমের দাম ছিল ১৫০ টাকা (পিস হিসেবে ১২.৫০ টাকা)। পরের দিন ২৭ আগস্ট তা বেড়ে হয়ে যায় ১৫৩.৬০ টাকা (প্রতি পিস ১২ টাকা ৮০ পয়সা)। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমে আসে। ৪ সেপ্টেম্বর প্রতি ডজনের দাম ছিল ১৩৯ টাকা ২০ পয়সা (পিস ১১ টাকা ৬০ পয়সা)। পরের দিন ৫ সেপ্টেম্বর দাম আবারও বেড়ে যায়। ওই দিন প্রতি ডজনের দাম ছিল ১৪১ টাকা ৬০ পয়সা (পিস ১১ টাকা ৮০ পয়সা)। এত দিন দাম এক-দুই টাকা বাড়লেও গতকাল বৃহস্পতিবার পাহাড়তলী ডিমের পাইকারি বাজারে এক লাফে চার টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন সেখানে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪৬ টাকা ৪০ পয়সা (পিস ১২ টাকা ২০ পয়সা)। যেটা খুচরা বাজারে কোথাও ডজনপ্রতি ১৫৫ টাকা। আবার কোথাও ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামের ডিমের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা রয়েছে প্রায় এক কোটি পিস। ভারত থেকে এসেছে মাত্র দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আর ভারত থেকে আমদানি করা ডিমগুলোর ক্রেতা মূলত বেকারিওয়ালারা। এর দাম কম থাকায় বেকারিতে চাহিদা বেশি থাকে। তবে দেশের মানুষ বাদামি রঙের ডিম বেশি ব্যবহার করেন। তাই সাদা ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমছে না।</span></span></span></span></p>