<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে মানুকে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে আগ্রহী করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার গত বছর এই কর্মসূচি চালু করলেও আস্থার অভাবে অনেকটা ব্যর্থ হওয়ার পথে ছিল। এ অবস্থায় আস্থা বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে গত সোমবার সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রথম বোর্ড সভায় স্কিমের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করার পর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের (রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ। এটি হলে ব্যাংকের মাধ্যমে পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহকদের অংশগ্রহণে আস্থা বাড়বে। দ্বিতীয়ত, সিদ্ধান্ত হয়েছে, সর্বজনীন পেনশনে মানুষকে আগ্রহী করতে প্রচার-প্রচারণাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গ্রহণ করা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় নেওয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া গ্রহকদের আস্থা বাড়াতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে এই কর্মসূচিতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর এবং এরই মধ্যে ঘোষণা দেওয়া কার্যক্রম দৃশ্যমান বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রায় ২০ শতাংশ গ্রাহক পেনশন কর্মসূচির চাঁদা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে এখন সঞ্চয়ে নিরুৎসাহ সাধারণ মানুষ। ফলে নতুন নিবন্ধনকারীর সংখ্যা আশানুরূপ বাড়ছে না। যদিও অনেক বড় পরিকল্পনা নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির যাত্রা শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পরিকল্পনায় আছে। তবে এখন কর্মসূচিটি অনেকটা ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। এই অবস্থার বাস্তব চিত্র পর্ষদের প্রথম সভায় উস্থাপন করা হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে পর্ষদ সভায় নতুন করে নানা কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যাংক কর্মকর্তাদের পেনশনে যুক্ত করতে অনেক আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছিল। দেশের সব ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ওই সার্কুলারে বলা হয়েছিল, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা এবং বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পেনশন কর্তপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই চার কর্মসূচিতে চাঁদা জমা দেওয়া গ্রাহকরা মুনাফা পেতে যাচ্ছেন। গত অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রত্যেক গ্রাহকের চাঁদার বিপরীতে এই মুনাফা জমা হবে। লভ্যাংশের হার ন্যূনতম ৮ শতাংশ হতে পারে, যা বিনিয়োগকারী অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পারবেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে তিন লাখ ৭২ হাজার ৩৮১ জন গ্রাহক চারটি স্কিমে যুক্ত আছেন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৩১ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে জানতে চাইলে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে নানা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আগামী দিনে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গ্রাহকদের জমা হওয়া অর্থ সুরক্ষিত আছে। এ থেকে ট্রেজারি বন্ডে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই বিনিয়োগের মুনাফা চলতি মাসেই পেনশন স্কিমের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে বণ্টন করা হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p>