<p>বিভিন্ন সময়ে দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের অনিয়মকারীদের জরিমানা করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাই মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির বড় বাধা।</p> <p>গত বুধবার আইসিবির ‘মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।</p> <p>এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বের কোথাও ফ্লোর প্রাইস নেই। আর আমাদের বাজারে প্রায় দুই বছর ফ্লোর প্রাইস রয়েছে। এতে বাজারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড একটি কম্পানির শেয়ারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। আর একটি খাতে ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। বিনিয়োগের এই সীমা তুলে দেওয়া উচিত। মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা চালানোর পক্ষেও মত দেন তাঁরা। বিএসইসির নতুন কমিশন অনেক বড় বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এই তদন্ত বিএসইসির অভ্যন্তরীণভাবে করা উচিত। কেউ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে গণমাধ্যমে তার ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয় বলেও মত দেন কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।</p> <p>প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু আহমেদ বলেন, ‘অর্থনীতির স্বাভাবিক সূত্র বলে—যেখানে লাভ বেশি হবে সেখানে মানুষ বিনিয়োগ করবে। আবার লোকসানের আশঙ্কা থাকলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে একাধিক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে লাভ বের করে আনা কঠিন। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কথা বলব।’</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>