<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় ৩০০ জন আহত হন। হামলার পাঁচ মাসেও হামলাকারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামলার প্রায় তিন মাসের মাথায় গত ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাত সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়। এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে অনুরোধ করা হয়। তবে ৪৫ কার্যদিবসের পরও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তথ্যানুসন্ধান কমিটি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তদন্ত কমিটি প্রথম ধাপে গত ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হওয়া সহিংসতায় আক্রান্ত, আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের থেকে ভিডিও, ছবি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কনটেন্ট সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় ধাপে কমিটি আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী থেকে সরাসরি বক্তব্য গ্রহণ করছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র জানিয়েছে, কমিটির কাছে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলার জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। দ্বিতীয় ধাপের তথ্য সংগ্রহ শেষে চলতি মাসের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপন। তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি অপরাধের ধরন বিবেচনায় অভিযুক্তদের প্রশাসনিক শাস্তির আওতায় আনবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাজী মাহফুজুল হক সুপন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথম ধাপে আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম এভিডেন্স দেওয়ার জন্য। আমাদের কাছে অনেক এভিডেন্স, অভিযোগ, ভিডিও ক্লিপ এসেছে। সেগুলো আমরা প্রসেস করেছি। এখন আমরা একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, যারা সরাসরি আমাদের সামনে এসে কথা বলতে চায় তাদের জন্য।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তথ্যানুসন্ধান কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে আমরা হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির নির্দিষ্ট কিছু ধারা রয়েছে কোন অপরাধের জন্য কেমন সাজা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা অপরাধের ধরন দেখে হামলাকারীদের শাস্তি দেব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের নামে কোনো মামলা করবে না। সবচেয়ে ভালো হয় যারা ভুক্তভোগী বা আহত হয়েছে, তারা মামলা করলে। তাহলে হামলাকারীরা যথোপযুক্ত সাজা পাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>