<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো প্রাণী যোগাযোগের আমাদের বোঝাপড়ায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। কারণ এটা প্রাণীর ভাষা অনুবাদের মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য করে তুলছে। এই অগ্রগতি শুধু একটি তাত্ত্বিক সম্ভাবনা নয়; বরং বিজ্ঞানীরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন প্রাণীর প্রজাতির সঙ্গে দ্বিমুখী যোগাযোগের পদ্ধতি তৈরি করছেন। সফল হলে এই ধরনের প্রযুক্তি প্রাণীদের অধিকার, সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এবং প্রাণীদের অনুভূতি সম্পর্কে আমাদের বোঝার ব্যাপারে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঐতিহাসিকভাবে মানুষ প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের মিশ্রণের মাধ্যমে প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যেমনটি কুকুরের গৃহপালন বা কোকো দ্য গরিলার মতো প্রাইমেটদের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। যাহোক, এই পদ্ধতিগুলো শ্রমনিবিড় এবং প্রায়শই সম্পূর্ণ প্রজাতির পরিবর্তে নির্দিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এই কঠিন কাজটি সহজ করে দিতে ভূমিকা রাখছে এআই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূমি, সাগর আর আকাশে বিচরণ করা প্রাণীকুল কিভাবে স্বজাতীয় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেটি ডিকোড করার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা বেশ ইতিবাচকও প্রমাণিত হতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কানাডার রাজধানী অটোয়ার কার্লটন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী শেন গেরো ২০ বছর চেষ্টার পর তিমির যোগাযোগ পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। তার মতে, তিমি তাদের পরিচারের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শব্দ (আওয়াজ) উচ্চারণ করে। তার মতে, মহাসাগরগুলোর বিভিন্ন অংশে তিমিদের আঞ্চলিক উচ্চারণও রয়েছে। গবেষকরা বলেন, পাখির ডাক, ডলফিনের হুইশেল, হাতির চিৎকার মোটেও অর্থহীন নয়। এগুলো প্রাণীদের পারস্পরিক যোগাযোগের একটি নিজস্ব শৈলী। তারা বলেন, প্রাণীকুলের পারস্পরিক যোগাযোগ বোঝার ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেবে এআই প্রযুক্তি। কারণ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারবে, প্রাণীকুল আওয়াজের মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইছে, তা মানুষ অচিরেই ধরে ফেলতে পারবে। সূত্র : নেচার</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>