<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বে যে হারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ সাধিত হচ্ছে, তা প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ইন্টারনেটের জগতে যেসব তথ্য এরই মধ্যে জমা হয়েছে, তার সবটুকু আয়ত্ত করে নিতে এআইয়ের আর মাত্র চার বছর লাগতে পারে। তখন এআইয়ের খোরাক কিভাবে জোগান দেওয়া হবে, সেটি নিয়ে ভাবছেন গবেষকরা। তারা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইন্টারনেটকে মানবীয় জ্ঞানের বিশাল সমুদ্র বলা হলেও সেই জ্ঞানের একটি সীমা রয়েছে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এরই মধ্যে এসব জ্ঞানের বেশির ভাগই আয়ত্ত করে নিতে পেরেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত দশকে এআই খাতে যে বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে, তার অন্যতম হচ্ছে নিউরাল নেটওয়ার্ককে শুধু অতি ব্যাপক বানানো হয়নি, এই নেটওয়ার্ক যাতে অধিক হারে ডেটা আয়ত্ত করে নিতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর প্রমাণ হিসেবে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলসের (এলএলএম) কথা বলা যায়। এই প্রগ্রামের কারণে এআইগুলো বিশ্বের যেকোনো ভাষা, ব্যাকরণ ও অক্ষর চিনতে পারছে। চ্যাটজিপিটি এই প্রগ্রামের আওতায় কাজ করছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রথাগত ভাষাগুলোর মৌলিক জ্ঞান এআই এরই মধ্যে আয়ত্ত করে নিতে পেরেছে। এখানেই শেষ নয়, এসব জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এআই মানুষের সঙ্গে রীতিমতো বুদ্ধিবৃত্তিক পন্থায় তর্কবিতর্কও করছে। অথচ এলএলএম ডেভেলপাররা এআইকে শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহ করতে পারছেন না। এ কারণে কোনো কোনো গবেষক এআইয়ের শিখন সামর্থ্যটিকে সীমাবদ্ধ বানিয়ে ফেলার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এআইকে শেখানোর উপযোগী মানবীয় ডেটা আগামী চার বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে। প্রতিপক্ষরা বলছেন, এই কাজটি করতে গেলে এআই খাতে বিকাশের ধারাটি স্বাভাবিকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। সমস্যায় পড়বেন এআই ডেভেলপাররা, যারা এআই নিয়ে গবেষণা চালান। অন্ততপক্ষে কোনো ব্যাপারে তথ্য জানার জন্য এআইগুলো বিশেষজ্ঞদের কাছে আর ই-মেইল করবে না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কম্পানি নতুন ডেটা তৈরির পাশাপাশি অপ্রথাগত ডেটার উৎসগুলোও শনাক্ত করতে চাইছে। এই কাজে তারা ব্যক্তিগত ডেটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডেটাও ব্যবহার করার আইনি পথ খুঁজছে। সূত্র : নেচার</span></span></span></span></span></p>