<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম আদালতের এক হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ মিলছে না। আইনজীবীরা বলছেন, নথি গায়েব হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। পুলিশ বলছে, কোতোয়ালি থানায় জিডি করার পর থেকেই তদন্ত শুরু হয়েছে। রুমের বাইরে যেখানে নথিগুলো রাখা ছিল সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবে মহানগর আদালতের পিপি বলছেন, এসব নথি হারানোয় মামলার বিচারকাজে তেমন প্রভাব ফেলবে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নথি হারানোর ঘটনায় রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম আদালতের সিনিয়র আইনজীবী ও সচেতন নাগরিক কমিটি চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফৌজদারি মামলা বিশেষ করে পুলিশ কেস যেগুলো, সেগুলোতে কেস ডকেট মামলা বিচার এবং প্রমাণের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই মামলাগুলো বিচারাধীন। মামলার অপরিহার্য অংশ কেস ডকেট এ রকম অরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয় শুনে আমরা বিস্মিত ও হতবাক।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, বস্তায় ভরে নথিগুলো পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালে অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জিডিতে বলা হয়েছে, মহানগর পিপি অফিসে প্রায় ২৮-৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি অফিসের জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পিপি অফিসের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১ কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রক্ষিত ছিল। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এগুলো মামলার সিডি। সিডির ডিজিটাল কপি সংরক্ষিত থাকে। এখান থেকেও তা পুনরুদ্ধার করা যাবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, এগুলো বাইরে ডাম্পিং অবস্থায় ছিল, কে বা কারা নিয়ে গেছে। এই জন্য আমি জিডি করেছি। এগুলো বর্তমানে মামলার বিচারকাজে কোনো প্রভাব ফেলবে না।</span></span></span></span></span></p>