<p>ডিমের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে এখনো নামিয়ে আনা যায়নি। খোলাবাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা ডজন। আর হালি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা করে। চলতি মাসের শুরুতে এই ডিমের দাম উঠেছিল ১৮০ টাকা ডজনে।</p> <p>গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুর ও ভাটারা এলাকার কয়েকটি দোকান ঘুরে এমন দাম দেখা গেছে। তবে এলাকাভেদে ডিমের এই দাম কিছুটা কমবেশি রয়েছে। অন্যদিকে সুপার শপগুলোতে খোলা ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে।</p> <p>গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে। উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে  ১১ টাকা ১ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিমের মূল্য ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা। কিন্তু এই দামে খুচরা বাজারে এখনো ডিম পাওয়া যাচ্ছে না।</p> <p>রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুর বউবাজারে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা ডজন। আর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ডজন। এই বাজারের মনির অ্যান্ড ব্রাদার্স স্টোরের একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, পাঁচ-ছয় দিন ধরে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম ১৫৫ টাকা করে বিক্রি করছি। এর আগে দাম আরো বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমেছে। তবে ১৪৩ বা তার কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমাদের কেনা দাম বেশি।</p> <p>এদিকে দেশের সুপারশপগুলোতেও সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সার চেয়ে ৭ থেকে প্রায় ১৭ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, দেশের অন্যতম বড় সুপারশপ ‘স্বপ্ন’তে প্রতি ডজন খোলা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা ৬০ পয়সায়। একই ভাবে সুপারশপ ‘মীনা বাজার’-এ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন, আগোরায় বিক্রি হচ্ছে ১৫৯ টাকা ৬০ পয়সা ডজন।</p> <p>রাজধানীর অন্যতম বড় কাঁচাবাজার মিরপুর-১ নম্বরের শাহ আলী কাঁচাবাজার। এই বাজারে গতকাল কোনো ডিমের দোকানে ফার্মের মুরগির লাল কিংবা সাদা ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়নি। বিক্রি হয়েছে কোয়েল, হাঁস ও দেশি জাতের মুরগির ডিম। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ও জরিমানার পর থেকে তাঁরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে ক্রেতাদের।</p> <p>নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মিরপুর-১-এর শাহ আলী কাঁচাবাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের দুই সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা ও ফারহানা ইসলাম অজন্তা। তখন ক্রয় রসিদ দেখাতে না পারায় খুচরা ডিমের বিক্রেতা আব্দুল জব্বারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম না কেনায় পাইকারি বিক্রেতা রাজিব পুষ্টি বিতানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর তাতেই সব দোকানে লাল ডিম বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।</p>