<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (গুপ্তছড়া)-সীতাকুণ্ড (কুমিরা) নৌ রুটে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসির নিয়ন্ত্রণে স্টিমার সার্ভিস চলমান থাকলেও যাত্রী ওঠানামায় অবকাঠামোগত সুবিধাজনক ছিল না কখনো। একই ঘাটে মালপত্র পরিবহন ও নিয়ন্ত্রণ (গুদি ঘাট) করত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। জাহাজ সার্ভিসের ব্যর্থতার সুযোগে ২০০১ সাল থেকে গুদি ঘাটে মাল পরিবহন বোটে আর ইঞ্জিন নৌকায়, ছোট লাল বোট ও স্পিডবোটের মাধ্যমে শুরু হয় যাত্রী পরিবহন। এটি অবৈধ পারাপার দাবি করে জেলা পরিষদকে তা বন্ধ করতে নির্দেশ দিলে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে শুরু হয় মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতে রুজু হয় মামলা। দুই যুগেও সমাধা হয়নি এই বিরোধ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেলপথের দায়িত্বে নিয়োজিত বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা সন্দ্বীপের সন্তান ড. ফাওজুল করিম ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে যাত্রী সুবিধার উদ্যোগ নেন। গত ১০ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সন্দ্বীপকে উপকূলীয় নদীবন্দর ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে সীমানা উল্লেখ করে এখানে অন্যান্য সংস্থার সব ধরনের কর্তৃত্ব বাতিল করে এবং যাত্রী পরিবহনে দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ-টিসি গত সপ্তাহে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীসেবায় উদ্যোগ নিলে তাতে বাধা দেয় জেলা পরিষদের বর্তমান ইজারাদারের কর্মচারীরা। এই অভিযোগ বিআইডব্লিউটিএ অনুমোদননপ্রাপ্ত সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস লিমিটেডের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার আমরা কুমিরা ঘাটে টিকিট কাউন্টার ও বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিলে জেলা পরিষদের ইজারাদারের লোকজন আমাদের বাধা দেয়। ফলে আমরা ফিরে যেতে বাধ্য হই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা পরিষদের ইজারাদার আদিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আদিল চৌধুরী জানান, অভিযোগ সত্য নয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা পরিষদ সচিব সাব্বির ইকবাল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘাট পরিচালনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কোনো সিদ্ধান্ত এলে তা আমরা দেখব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ঘাটে জেলা পরিষদের কোনো অধিকার নেই, আমরা বিষয়টি দেখছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>