মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
কাপাসিয়া (গাজীপুর) : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে গত শুক্রবার আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ভাষার জন্য আত্মত্যাগ করা বীরসন্তানদের স্মরণে প্রতিযোগিতার প্রতিটি রেখায়, প্রতিটি রঙের ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে একুশের চেতনা।
কচিকাঁচা শিশুর আঁকা ছবিতে ধরা পড়েছে রক্তস্নাত একুশে ফেব্রুয়ারির দৃশ্য, বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মো. মহসিন, সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, সদস্য অনিক মিয়া, জাহিদ মিয়া প্রমুখ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট বাংলায় লিখতে হবে। একই সঙ্গে সব দপ্তরের নামফলক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার না করে বাংলায় লিখতে বলা হয়েছে।
কিন্তু উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা অমান্য করে এসব স্থানে বাংলা ভাষার ব্যবহার না করা অব্যাহত আছে। উচ্চ আদালতের কঠোর নির্দেশনার পরও সাইনবোর্ড ও নামফলকে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে ইংরেজি ভাষা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা : বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে নিজেদের সচেতনতা, প্রশাসনের উদ্যোগ, নজরদারিসহ নানাবিধ করণীয় বিষয়ে কথা বলেছেন বক্তারা।
গতকাল শনিবার শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের সাংবাদিকতা বিভাগের ৮১৭ নম্বর রুমে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বাশির শাহরিয়ার বলেন, ‘অনেকে বাংলায় কথা বলার সময় অনেক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন। এভাবে নিজেরাই নিজেদের ভাষাকে বিকৃতি করছি। আমাদের সচেতনতাই ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে পারে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কেন আমরা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে পারি না? কেন এ দেশে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানা হয় না? আমরা কি সচেতন আছি? আমাদের উচ্চারণে ভুল আছে।
আমরা যদি প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে পারি, তাহলে ভাষার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা কিছুটা হলেও পরিশোধ করতে পারি।’ সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ বলেন, ‘ভাষা রক্ষায় আমাদের বাংলা ভাষা শিখতে হবে। আমাদের ব্যাকরণ পড়তে হবে। উচ্চারণের নিয়ম জানতে হবে।’
এ সময় জবি শুভসংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাব্বি, অর্থ সম্পাদক বাশির শাহরিয়ার, কার্যকরী সদস্য হুমাইরা, সহ অর্থ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।