ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চায় বাজুস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চায় বাজুস
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি ও ডাকাতি বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

 

আরো পড়ুন

বিএনপি কোনো পরিবারকে না খেয়ে থাকতে দেবে না : বাবুল

বিএনপি কোনো পরিবারকে না খেয়ে থাকতে দেবে না : বাবুল

 

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে সংগঠনটির স্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের চলমান অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে কাজ করছে বাজুস। এই লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হত্যা, হত্যা চেষ্টা, অপহরণ চেষ্টা আমাদের জান-মালের নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এমনকি বাসা বাড়িতেও জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও তার পরিবাররের সদস্যরা নিরাপদ বোধ করছে না। এসব অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের হাতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যা চেষ্টার ঘটনাও বাড়ছে। 

আরো পড়ুন

২৪ ঘণ্টায় যমুনাতে কত টোল দিলেন বাইকাররা? জানাল কর্তৃপক্ষ

২৪ ঘণ্টায় যমুনাতে কত টোল দিলেন বাইকাররা? জানাল কর্তৃপক্ষ

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাজুস। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের আরো অধিকতর সহযোগিতা চায় সংগঠনটি।

পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে জুয়েলারি শিল্প ঘিরে সংঘটিত অপরাধ দমনে বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানানো হয়।

জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘঠিত কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ ভোর ৫টায় বাজুসের সহ-সভাপতি ও দেশের স্বনামধন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অলংকার নিকেতনের কর্ণধার এম. এ. হান্নান আজাদের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় ও ছদ্মবেশী ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হামলা চালায়। এ সময় তার বাসা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি এম এ হান্নান আজাদকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের ওপর ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার চেষ্টা হয়, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়।

 

আরো পড়ুন

জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ৩ পুলিশ নিহত

জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ৩ পুলিশ নিহত

 

বাজুস জানায়,  গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রায় ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১১টি, সাভারের আশুলিয়ায় ১টি, মুন্সিগঞ্জে ১টি, খুলনায় ৪টি, কুমিল্লায় ১টি, পটুয়াখালীতে ২টি, ময়মনসিংহে ১টি, সিলেটে ১টি ও হবিগঞ্জে ১টি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়। সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতির সময় ডাকাতদের গুলিতে একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হন এবং বনশ্রীতে সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। গত এক বছরে এই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। 

আরো পড়ুন

বায়ুদূষণ : ১২ সিসা ব্যাটারি কারখানা বন্ধ করল পরিবেশ অধিদপ্তর

বায়ুদূষণ : ১২ সিসা ব্যাটারি কারখানা বন্ধ করল পরিবেশ অধিদপ্তর

 

বাজুস নেতারা বলছেন, এসব ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। এ জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের আলাদা দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের সব জেলার জুয়েলারি মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানান তারা। এ ছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অলংকার উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়। 

অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানিয়ে সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে বাজুস। এর মধ্যে রয়েছে— নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিশ্চিত করা, মার্কেটে অবস্থিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালিকরা মার্কেট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ উদ্যোগে পালাক্রমে পাহার নিশ্চিত করা, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে পুলিশ প্রশাসন ও বাজুসকে অবহিত করা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহ-সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন খোকন ও সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপুসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফের ঢাকা আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফের ঢাকা আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল

চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে। অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় এটি দ্বিতীয় সফর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে।

দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফের দল। দলটি প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পায়। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

আর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে। যদিও সরকার আশা করছে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এপ্রিলেও জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এপ্রিলেও জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত
ফাইল ছবি

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। চলতি মার্চ মাসের নির্ধারিত দামই থাকছে এ মাসে।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম জানুয়ারির তুলনায় লিটারে এক টাকা বেড়েছিল।

আজ সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখার কথা জানানো হয়েছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য বিদ্যমান মূল্য কাঠামো অনুযায়ী ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫.০০ টাকা, কেরোসিন ১০৫.০০ টাকা, অকটেন ১২৬.০০ টাকা এবং পেট্রল ১২২.০০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল হতে এ মূল্য কার্যকর হবে।

মন্তব্য

বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
সংগৃহীত ছবি

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ১০০ মার্কিন ডলারের ওপর উঠেছে প্রতি আউন্স সোনার দাম। এর প্রভাবে দেশের বাজারেও বাড়তে পারে দাম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববাজারে স্পট সোনার দাম প্রতি আউন্স রেকর্ড ৩ হাজার ১০৬ দশমিক ৫০ ডলারে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ বছর সোনার দাম ১৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সোনার দাম প্রথমবারের মতো তিন হাজার ডলার ছাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হলো অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে বাড়তি উদ্বেগের প্রতিফলন।

আরো পড়ুন
ঈদের খরচ যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে

ঈদের খরচ যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে

 

ওসিবিসির বিশ্লেষকরা বলেছেন, বর্তমানে, ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ এবং শুল্কের অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে সোনার নিরাপদ আশ্রয় এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে আবেদন আরও শক্তিশালী হয়েছে।

চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্য সংঘাত এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে সোনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমরা ইতিবাচক রয়েছি।

গোল্ডম্যান স্যাশ, ব্যাংক অব আমেরিকা এবং ইউবিএস এ মাসে সোনার দামের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাশ পূর্বাভাস দিয়েছে, সোনার দাম বছরের শেষ নাগাদ ৩ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছাবে। তাদের আগের পূর্বাভাসে এর পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ ডলার বলা হয়েছিল।

এছাড়া, ব্যাংক অব আমেরিকা ২০২৫ সালে সোনার দাম ৩ হাজার ৬৩ ডলার প্রতি আউন্স এবং ২০২৬ সালে ৩ হাজার ৩৫০ ডলারে পৌঁছানোর আশা করছে, যা তাদের আগের পূর্বাভাসে যথাক্রমে ২ হাজার ৭৫০ ডলার এবং ২ হাজার ৬২৫ ডলার ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকে রক্ষা এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে মধ্যে আমদানি করা গাড়ি এবং অটো যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে সব ধরনের আমদানিতে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি আগামী ২ এপ্রিল নতুন পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।

আরো পড়ুন
কাল গ্যাসের চাপ কম থাকবে যেসব এলাকায়

কাল গ্যাসের চাপ কম থাকবে যেসব এলাকায়

 

মেরেক্সের পরামর্শক এডওয়ার্ড মেইর বলেন, শুল্কের বিষয়গুলো সোনার দামকে আরও বাড়াতে থাকবে, যতক্ষণ না টিট-ফর-ট্যাট অভিযানের কোনো সমাপ্তি আসে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন
সংগৃহীত ছবি

ঈদকে কেন্দ্র পরিবরের জন্য বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে চলতি মার্চ মাসের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ২৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলার। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে এসেছে।

বিপিএম-৬ ১৯ দশ‌মিক ৭০ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর রমজান মাসে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভ বাড়ছে।

আরো পড়ুন

প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

 

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হ‌লো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ।

এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ক‌রে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এর হিসাব করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ