মালয়েশিয়ায় ভুয়া কাগজপত্রের অভিযোগে ৫১ বাংলাদেশি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মালয়েশিয়ায় ভুয়া কাগজপত্রের অভিযোগে ৫১ বাংলাদেশি আটক

ভুয়া কাগজপত্র পাওয়া ও কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ৫১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার দেশটির কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোটেল বুকিংয়ের নকল কাগজ ও ইমিগ্রেশন ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সংস্থার (একেপিএস) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

একেপিএসের বিবৃতিতে বলা হয়, বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের মধ্য থেকে এলোমেলোভাবে ৬৭ জনকে তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা।

তাঁদের মধ্যে ৫১ জনই কোনো না কোনো অপরাধ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তাদের চোখ এড়ানোর উদ্দেশ্যে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কয়েকজন ইমিগ্রেশন ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগের চেষ্টাও করেন। ফলে তাঁদের মালয়েশিয়ায় আসার আসল কারণ নিয়ে শঙ্কায় পড়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
ইমিগ্রেশন অফিসারদের থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাও করেছেন কয়েকজন। অবশ্য তাঁদের ধরা হয়েছে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সমাবেশ

শেয়ার
সমাবেশ
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল শাহবাগে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯৩

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই দিনে মহানগরীর ৫০টি থানায় চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম জোরদার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন অপরাধে ১১৬টি মামলা করা হয়েছে। ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে মহানগরজুড়ে দুই পালায় মোট এক হাজার ৩৩৪টি টহল টিম কাজ করে। এর মধ্যে ৬৮০টি রাতের ও ৬৫৪টি দিনের টহল টিম ছিল।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি ওবিই ডিনারেস জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত জিটুজি চুক্তির আওতায় তৃতীয় চালান হিসেবে এই চাল এসেছে। গতকাল শনিবার ঢাকায় সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্যবিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চালানে ৩০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল এর আগে দেশে পৌঁছেছে।

মন্তব্য
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যে সরকারই আসুক শেখ হাসিনার বিচার করতেই হবে। কিন্তু এ জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর আসাদগেটে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড মিলনায়তনে ঢাকার সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ডক্টর ইউনূস সাহেব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন সম্মানিত ব্যক্তি।

তাঁকে অসম্মান করাটা ঠিক হবে না। তাঁকে সুযোগ করে দেওয়া হোক, অতি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে উনি চলে যান। এখন কেউ যদি বলে, হাসিনার বিচার যত দিন পর্যন্ত না হবে, নির্বাচন তত দিন হবে না! এখন হাসিনার বিচার কি আমরা চাই না? সে কি আমাদের নির্যাতন করেনি? হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে, যে সরকারই আসুক না কেন। এখন তাঁর বিচার যদি নির্বাচনের সঙ্গে ট্যাগ করা হয়..., তার বিচার হতে সাত বছর লাগবে।
তাহলে কি আমরা এই সাত বছর বসে বসে তামাক খাব? বললেই তো হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মতো কথা বললে তো হবে না। 

তিনি বলেন, দেখেন ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গাছের পাতা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছিল। যেই সকাল বেলা খবর হলো শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব নিহত হয়েছেন, আওয়ামী লীগ কোথায় হাওয়া হয়ে গেল, কেউ খুঁজে পেল না।

আবার যদি এরও পেছনে যাই আমি, ৭০-এর নির্বাচনে জনগণের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তাদের নির্বাচিত করল। তার পরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আলোচনা-সমালোচনা অনেক কিছু করেছে। ৭ মার্চের ভাষণ যদি শোনেন গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু ওই ভাষণে সমঝোতার কথা ছিল। ভাষণের শেষে গিয়ে বললেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা জয় পাকিস্তান। তো এইটা তো স্বাধীনতার ঘোষণা হলো না। তখন বলছিলেন আসুন বসুন, আলোচনা করুন পার্লামেন্টে আসুন, এটা কি স্বাধীনতার ঘোষণা? তার পর ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানিরা যখন হামলা করল, তখনো আওয়ামী লীগ নেই। নেই তো নেই। এই সাত কোটি মানুষ কী করবে? কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? কার কাছে আশ্রয় নেবে? এমপি-নেতা সব ভেগে গিয়েছিলেন। কেউ ছিলেন না। এই হলো আওয়ামী লীগ।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ