তারাবিতে কোরআনের বার্তা

রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে বহুগুণ পুরস্কার

  • পর্ব : ২২
ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে বহুগুণ পুরস্কার

সুরা : আহজাব

এই সুরায় সামাজিক জীবনের বিভিন্ন শিষ্টাচার, আহজাব যুদ্ধ ও বনি কুরাইজা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। শুরুর দিকে দত্তক নেওয়া শিশুর বিধান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মহানবী (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের বিশেষ মর্যাদার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পর্দার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।

জাহেলি যুগের মতো উদ্দাম চলাফেলা করতে নিষেধ করা হয়েছে। তালাকপ্রাপ্তা নারীর ইদ্দত পালনের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। নবীপরিবারের মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। ভালো কাজে তাঁদের প্রতিদান দ্বিগুণ আর মন্দ কাজে শাস্তিও দ্বিগুণ দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. ওহির অনুসরণ করো। (আয়াত : ২)

২. মুমিনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। (আ. : ৩)

৩. মানুষকে পিতৃপরিচয়ে ডাকো। (আ. : ৫)

৪. পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না।

(আয়াত : ১৫)

৫. রাসুল (সা.)-এর জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (আয়াত : ২১)

৬. রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে দ্বিগুণ পুরস্কার। (আয়াত : ৩১)

৭. পরপুরুষের সঙ্গে কোমল ভাষায় কথ বোলো না। (আয়াত : ৩২)

৮. তোমরা ঘরে অবস্থান কোরো। (আ. : ৩৩)

৯. মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী।

(আয়াত : ৪০)

১০. সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জিকির কোরো। (আয়াত : ৪১-৪২)

১১. আমন্ত্রণকারীর অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ কোরো না। (আয়াত : ৫৩)

১২. নারীদের কাছে চাইতে হবে আড়াল থেকে। (আয়াত : ৫৩)

১৩. রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ কোরো। (আয়াত : ৫৬)

১৪. মানুষকে কষ্ট দিয়ো না। গুজব রটিয়ো না। (আয়াত : ৫৮ ও ৬০)

১৫. সদা সত্য কথা বলো। (আয়াত : ৭০)

সুরা : সাবা

মহান আল্লাহর হামদ পাঠের মাধ্যমে এই সুরা শুরু করা হয়েছে। এরপর এ কথার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে কিয়ামত অবশ্যই কায়েম হবে। তারপর দাউদ ও সুলায়মান (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। পাখি ও পাহাড় দাউদ (আ.)-এর সঙ্গে মহান আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করত। আর বাতাস সুলায়মান (আ.)-এর অধীন ছিল। এরপর ইয়েমেনের সাবা নগরীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুশরিকদের ঈমানের দাওয়াত দিয়ে সুরাটি শেষ করা হয়েছে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. আল্লাহর আয়াত মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা কোরো না। (আয়াত : ৫)

২. জ্ঞানীরা কোরআনের সত্যতা নিয়ে সংশয় রাখে না। (আয়াত : ৬)

৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর অবাধ্যতার ফল। (আয়াত : ১৬)

৪. কারো পাপের দায় কেউ বহন করবে না। (আয়াত : ২৫)

৫. মহানবী (সা.) মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা। (আয়াত : ২৮)

৬. মানুষের জীবনকাল নির্ধারিত। (আয়াত : ৩০)

৭. বিত্তশালীরাই দ্বিন থেকে বেশি বিমুখ। (আয়াত : ৩৪)

৮. আল্লাহ সত্যের দ্বারা অসত্যের বিলোপ ঘটান। (আয়াত : ৪৮)

সুরা : ফাতির

এই সুরায় সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন বস্তু উল্লেখ করে আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। ওহি নিয়ে ফেরেশতাদের আগমন বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের অন্ধ ও চক্ষুষ্মানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বৃষ্টি, ফল-ফসল, কয়েক স্তরে মানবসৃষ্টি, নোনা পানি থেকে সাগরের মিঠা পানি পৃথক করা, রাত-দিনের একের পর এক আগমন, চন্দ্র-সূর্যের নির্দিষ্ট নিয়মের অধীন হওয়া, হরেক রকম বৃক্ষ ও প্রাণী ইত্যাদি বর্ণনা করে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। এই সুরায় মহানবী (সা.)-কে বাশির ও নাজির তথা সুসংবাদদানকারী ও সতর্ককারী ঘোষণা করা হয়েছে। মূর্তিপূজার অসারতা বর্ণনা করে সুরা শেষ করা হয়েছে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. আল্লাহর অনুগ্রহ স্বীকার কোরো। (আয়াত : ৩)

২. সন্তান আল্লাহর অনুগ্রহ। (আয়াত : ১১)

৩. সমুদ্রে আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান কোরো। (আয়াত : ১২)

৪. আলো আর আঁধার কখনো সমান নয়। (আয়াত : ১৯-২১)

৫. জ্ঞানীরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে। (আয়াত : ২৮)

৬. দান করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। (আয়াত : ৩০)

৭. কুফরি আল্লাহর ক্রোধ বৃদ্ধি করে। (আয়াত : ৩৯)

৮. আল্লাহ পাপীদের অবকাশ দেন, তবে তা নির্ধারিত কালের জন্য। (আয়াত : ৪৫)

গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৬ মার্চ ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৬ মার্চ ২০২৫

আজ বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—

জোহরের সময় শুরু ১২টা ৮ মিনিট। 

আসরের সময় শুরু - ৪টা ২৮ মিনিট।

মাগরিব- ৬টা ১৫ মিনিট।

এশার সময় শুরু - ৭টা ২৯ মিনিট।

আগামীকাল ফজর শুরু - ৪টা ৪৩ মিনিট।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত - ৬টা ১২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়- ৫টা ৫৭ মিনিটে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
প্রশ্ন-উত্তর

নাবালক শিশুকে জাকাত দেওয়া যাবে?

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
নাবালক শিশুকে জাকাত দেওয়া যাবে?
প্রতীকী ছবি

প্রশ্ন : কেউ যদি জাকাত দেওয়ার সময় এমন কিছু শিশুকে জাকাত দেয়, যারা এখনো সাবালক হয়নি। তাহলে কি তার জাকাত আদায় হবে? আমাদের দেশে দেখা যায়, জাকাতের জন্য অনেকেই সঙ্গে তাদের নাবালকদের নিয়ে আসে। মানুষজনও সেই নাবালকদের জাকাত দেয়।

-মোখলেসুর রহমান, ময়মনসিংহ

উত্তর : জাকাত আদায় হওয়ার জন্য জাকাতের টাকা যাকে দেওয়া হবে সে সাবালক হওয়া শর্ত নয়, বরং স্বেচ্ছায় খরচ করার বুঝ রাখে—এমন হলেই তাকে জাকাত আদায় করা যাবে।

উল্লেখ্য যে নাবালক ছেলের বাবা ধনী হলে ছেলেকে জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না। তাই নাবালককে জাকাত দেওয়ার সময় এ বিষয়টি খেয়াল করতে হবে।
(রাদ্দুল মুহতার : ২/৩৪৯, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৫/৩৭৬)

সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা

মন্তব্য
তারাবিতে কোরআনের বার্তা

আল্লাহ কৃতজ্ঞ বান্দাদের পছন্দ করেন

    পর্ব : ২৪
ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
আল্লাহ কৃতজ্ঞ বান্দাদের পছন্দ করেন

সুরা ঝুমার

আলোচ্য সুরায় মানব সৃষ্টির সূচনা থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত বর্ণনা করা হয়েছে। এই সুরার প্রধান আলোচ্য বিষয় আল্লাহর একত্ববাদ, আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ, কোরআন ও ওহি। কোরআন এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে—এ কথার মাধ্যমে সুরাটি শুরু হয়েছে। এরপর আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে শিরকের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে।

আসমান-জমিনের সৃষ্টি, রাত-দিন, চন্দ্র-সূর্য, মাটির বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বর্ণনা করে আল্লাহর অসীম কুদরতের কথা জানানো হয়েছে। মুমিন ও কাফিরের মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা করা হয়েছে। সুরাটি শেষ হয়েছে মানুষকে দুইভাগে ভাগ করার মাধ্যমে। একদল মুমিন আর অন্যদল কাফির।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. আল্লাহ কৃতজ্ঞ বান্দাদের পছন্দ করেন। (আয়াত : ৭)

২. কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। (আয়াত : ৭)

৩. আল্লাহকে ভুলে যেয়ো না। (আয়াত : ৮)

৪. তাহাজ্জুদ আদায় করো।

(আয়াত : ৯)

৫. আল্লাহকে ভয় করো। (আয়াত : ১০)

৬. আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করো। (আয়াত : ১২)

৭. পরিবারে ধর্মহীনতার চর্চা কোরো না। (আয়াত : ১৫)

৮. উত্তম কথা গ্রহণ করো। (আয়াত : ১৮)

৯. মানুষের প্রতি কঠোর হৃদয় হয়ো না।

(আয়াত : ২২)

১০. কোরআন পাঠে মুমিন হৃদয় বিগলিত হয়। (আয়াত : ২৩)

১১. কোরআন সহজ ও সাবলীল। (আয়াত : ২৮)

১২. আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় কোরো না। (আয়াত : ৩৬)

১৩. মানবীয় জ্ঞান মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। (আয়াত : ৪৯)

১৪. আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। (আয়াত : ৫৩)

১৫. মুত্তাকিদের আল্লাহ রক্ষা করেন। (আয়াত : ৬১)

সুরা মুমিন

আলোচ্য সুরায় আল্লাহর একত্ববাদ ও পরকাল বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। সুরায় আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সত্য-মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দ্বের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন জাহান্নামবাসী জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার আবেদন করবে। কিন্তু তাদের আবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হবে। সুরার শেষে মহানবী (সা.)-কে ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে, যেভাবে মুসা (আ.) ধৈর্য ধারণ করেছেন।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. অবিশ্বাসীদের অবাধ বিচরণে বিভ্রান্ত হয়ো না। (আয়াত : ৪)

২. আল্লাহমুখী মানুষরাই উপদেশ গ্রহণ করে। (আয়াত : ১৩)

৩. পরকালে বন্ধুত্ব কাজে আসবে না। (আয়াত : ১৮)

৪. কুদৃষ্টি ও অন্তরের পাপ সম্পর্কে আল্লাহ জানেন। (আয়াত : ১৯)

৫. উদ্ধত ব্যক্তি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। (আয়াত : ২৭)

৬. ভিত্তিহীন বিতর্ক ঘৃণ্য কাজ। (আয়াত : ৩৫)

৭. স্বজাতিকে সত্যের পথে আহ্বান করো। (আয়াত : ৩৮)

৮. আল্লাহ দ্বিনের সেবকদের রক্ষা করেন। (আয়াত : ৪৫)

৯. দ্বিনের ব্যাপারে তর্ক কোরো না। (আয়াত : ৫৬)

১০. আল্লাহকে ডাকো। কেননা তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দেন। (আয়াত : ৬০)

১১. আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ হয়ো না। (আয়াত : ৬০)

১২. ক্ষমতার দম্ভ ও উল্লাস আল্লাহ পছন্দ করেন না। (আয়াত : ৭৫)

সুরা হা-মিম-সাজদা

এই সুরায় বলা হয়েছে, অবিশ্বাসীরা কোরআন নিয়ে চিন্তা করে না। আর নবী-রাসুলরা সবাই মানুষ ছিলেন। এই সুরায় আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, পৃথিবীতে শক্তিমত্তায় ও ক্ষমতায় কেউ তাদের সমকক্ষ ছিল না। এই সুরায় সতর্ক করা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। কিছু মানুষ কোরআন নিয়ে ব্যঙ্গ করে। কিন্তু শিগগিরই তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। এমন ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে সুরাটি শেষ হয়েছে যে প্রতিটি যুগে মানুষকে সৃষ্টিজগতের কিছু কিছু রহস্য উদ্ঘাটন করার ক্ষমতা দেওয়া হবে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. কোরআনবিমুখদের অন্তর পাপাচ্ছাদিত। (আয়াত : ৫)

২. পরকালে অবিশ্বাসীরা জাকাত দেয় না। (আয়াত : ৭)

৩. দ্বিনবিমুখ মানুষদের সতর্ক করো। (আয়াত : ১৩)

৪. পরকালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। (আয়াত : ২০)

৫. আল্লাহর প্রতি উদাসীনতা ধ্বংস ডেকে আনে। (আয়াত : ২৩)

৬. কোরআনচর্চায় বাধা দিয়ো না। (আয়াত : ২৬)

৭. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করো। (আয়াত : ৩৩)

৮. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নাও। (আয়াত : ৩৬)

৯. কোরআন বিকৃতকারীদের জন্য জাহান্নাম। (আয়াত : ৪০)

১০. কোরআন মুমিনের জন্য আরোগ্যস্বরূপ। (আয়াত : ৪৪)

১১. সম্পদের মোহ অন্তহীন। (আয়াত : ৪৯)

গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান

 

 

মন্তব্য

ওমরাহ শেষে বিশেষ সেবা পেলেন দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
ওমরাহ শেষে বিশেষ সেবা পেলেন দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ওমরাহ পালন করতে আসা মুসল্লিদের জন্য চুল কাটার বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে সৌদি আরব। এরমাধ্যমে ইহরাম থেকে মুক্ত হয়ে থাকেন ওমরাহ পালনকারীরা। রমজানের ২১ দিনে প্রায় দেড় লাখ মুসল্লি এই পরিষেবা থেকে উপকৃত হয়েছেন। 

জানা যায়, প্রথম বারের মতো এ বছর পবিত্র মসজিদুল হারামের আঙিনায় ওমরাহ শেষে ইহরাম সম্পন্ন করতে চুল কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুরুষ ও নারী ওমরাযাত্রীদের জন্য মারওয়া এলাকার বিপরীতে ১২টি স্থানে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম দিয়ে ১১২ কর্মী মোবাইল সেলুনে সেবা দিচ্ছেন।

এর আগে গত ২ মার্চ মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের আঙিনায় পরীক্ষামূলক ওমরাহযাত্রীদের জন্য চুল কাটার পরিষেবা চালু করেছে পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগ। এর মাধ্যমে ওমরাহযাত্রীরা সহজেই ইহরাম থেমে মুক্ত হতে পারছেন।

 

সূত্র : সৌদি গেজেট 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ