দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং থাইল্যান্ডের জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (এনএসিসি) মধ্যে গতকাল শুক্রবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এবং এনএসিসির সভাপতি সুচার্ট ট্রাকুলকাসেমসুক তাঁদের নিজ নিজ পক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি দুর্নীতিবাজদের অনেকেই প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
আমরা বিশ্বাস করি, এই সমঝোতা স্মারক তাঁদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে সহায়তা করবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কনভেনশনের ৪৮ অনুচ্ছেদে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বিভিন্ন রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সরাসরি সহযোগিতার বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তি করতে উৎসাহিত করবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাসঙ্গিকতার প্রাথমিক তথ্য দেবে, তথ্য সংগ্রহের সর্বোত্তম কর্মপদ্ধতি বিনিময়, তথ্য বিনিময়, যৌথ প্রকল্প গ্রহণ, অংশীদারি সমীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সহযোগিতামূলক কার্যক্রম সম্পাদন করবে।
আসিয়ান সদস্য পদের জন্য থাইল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে ঢাকার প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থনদানের জন্য থাইল্যান্ডের বিশিষ্টজনদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি থাই বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আসিয়ানের খাতভিত্তিক সংলাপ অংশীদার হিসেবে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের, তবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক গোষ্ঠীর পূর্ণ সদস্য হওয়া।’