রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ মিছিল থেকে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। গতকাল সোমবার তিনি এ নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো ন্যায়সংগত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। ’
এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা ‘ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী আছেন, যাঁরা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখতেন। তাঁরা সবাই আমাদের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যারা এই জঘন্য ভাঙচুর চালিয়েছে, তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বিরোধী।’
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে দেশের কয়েকটি জেলায় ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রি করার অভিযোগে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ ও শোরুমে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেটে পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিক্ষুব্ধ লোকজন ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিত্জা হাট ও বাটার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শোরুমে হামলা চালিয়েছে। কোমল পানীয় কোকা-কোলা, সেভেন আপ রাখায় কিছু দেশীয় প্রতিষ্ঠানও হামলার শিকার হয়েছে।