<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেউ বলে নীলকুঠির, কেউ বলে কুঠিবাড়ি। কয়েক শ বছর ধরে টিকে আছে এই বাড়িটি। তবে অযত্ন-অবহেলা আর সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় এ নিদর্শন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কালের সাক্ষী এই কুঠিবাড়ির অস্তিত্ব আজ বিলুপ্তির পথে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিটিশ শাসনামলে এ দেশের কৃষকদের বাধ্য করা হতো নীল চাষ করতে। সেই নীল নিয়ে যাওয়া হতো ব্রিটেনে। সেই ব্রিটিশদের শাসন-শোষণের নানা স্মৃতি হয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশেরা মহল্লায় অবস্থিত নীলকরদের কুঠিবাড়িটি। তবে সময়ের পরিবর্তনে সেটি এখন আখ বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগাতিপাড়ার জঙ্গলের অসমতল জায়গা নিরীহ বাসিন্দাদের মাধ্যমে পরিষ্কার করে নীল চাষের উপযোগী করে তৎকালীন ইংরেজরা এ অঞ্চলে কুঠিবাড়িটি স্থাপন করে। আর এসব অঞ্চলের চাষিদের জোরপূর্বক নীল চাষ করতে বাধ্য করে তারা। কিন্তু কালের বিবর্তনে সে সময়ের নীলকুঠিয়াল সাহেবদের অফিস-আদালত এবং নীল সংরক্ষণাগারসহ বহু স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। কিছু কিছু স্থানে নীলকুঠি ও কলকুঠিগুলোর কিছু অংশ কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারই অংশবিশেষ এই কুঠিবাড়িটি। এসব এলাকায় রয়েছে নীলকর আদায়কারী সাহেবদের আনা সাঁওতাল-বাগদীসহ বিভিন্ন আদিবাসী শ্রমিক গোষ্ঠী। এই নীলকর সাহেবরা এই এলাকায় জোরপূর্বক নীল চাষ করাত। ইংরেজদের কাছ থেকে ভারত ও পূর্ব বাংলা ভাগাভাগিতে রেনুইক অ্যান্ড কোং পূর্ব বাংলা এবং ভারতের সব কুঠির মধ্যে নওশেরা তথা পূর্ব বাংলার সব সম্পদ রফিক অ্যান্ড কোং-এর নামে হয়ে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি আছে, রফিক অ্যান্ড কোং তার দখলদারি পাওয়ার পর নাটোরে চিনিকল স্থাপনের পরমুহূর্তেই রেনুইক কোং-এর পক্ষ থেকে রফিক অ্যান্ড কোং বাংলাদেশ সুগার করপোরেশনকে নওশেরা কলকুঠি ও কুঠিয়ালদের সব সম্পত্তি দিয়েছেন। তার পর থেকে সেখানে আখের মৌসুমে নাটোর সুগার মিলের আখ ক্রয়কেন্দ্র হিসেবে সেটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার কৃষকরা নাটোর চিনিকলের কাছে আখ বিক্রির জন্য সেখানে আখ নিয়ে আসে। তারপর সেখানে পরিমাপসহ অন্যান্য কার্যাবলি শেষে সেখান থেকে সেই আখ নিয়ে যাওয়া হয় নাটোর সুগার মিলে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুরনো এই নিদর্শন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>