<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সারা শরীরে ছররা গুলি। রক্তাক্ত দেহ। কিছুদূর এগোতেই ঢলে পড়েন। আল-আমীনের মতো এমন আরো সাতজন সড়কের মাঝে পড়েছিলেন। নিঃশ্বাস আছে কি না পরখ করে দেখে পুলিশ। বেঁচে আছে বুঝতেই ফের গুলি করা হয়। আল-আমীনের নাকের সামনেও পরখ করা হয় শ্বাস আছে কি না। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি শ্বাস বন্ধ করে রাখেন। তিনিসহ চারজন এভাবে বেঁচে যান। তখন রাতের বেলা। খুব একটা লোকজনও ছিল না। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় লোকজনকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক সময় পর একজন ছাত্রসহ কয়েকজন তাঁদের ডাকে সাড়া দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারে খবর দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এভাবেই ১৮ জুলাইয়ের কথা বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাইতলা গ্রামের একিন আলীর ছেলে মো. আল-আমীন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কথা হয় আল-আমীনের সঙ্গে। মিনিটপাঁচেক কথা বলার পর তিনি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না। তিনি জানান, সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ঢাকায় সেলুনের কাজ করেন, অন্যের দোকানে। পেটে, কোমরের ওপরে, ঊরুতে গুলির যন্ত্রণা এখনো সইতে হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আল-আমীন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মন চাইলেও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আন্দোলনে যেতাম না। মনে হতো আমার কিছু হলে তাদের কে দেখবে। ১৩/১৪ জুলাইয়ের দিকে এক শিশু আমার দোকানের সামনে বিপদে পড়ে। পুলিশ তখন এলোপাতাড়ি গুলি করছিল। শিশুটিকে দোকানে এনে রক্ষা করি। শিশুটির বাবা এসে শিশুটিকে নিয়ে যান। দোকান থেকে বের হতেই বাবার কোলে থাকা অবস্থায়ই শিশুটির ওপর গুলি লাগলে সে মারা যায়। এরপর আর নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারিনি। এরপর থেকে নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দিই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহত হওয়ার পরও লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয় বলে জানান আল-আমীন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একে তো পুলিশের নির্মমতার শিকার হয়েছি। তার ওপর ঢাকা মেডিক্যালেও কম লাঞ্ছনা হয়নি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিজের চিকিৎসা ও পরিবার নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় থাকা আল-আমীন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কী করব জানি না। এখানে-সেখানে ঘুরছি। কোনো ধরনের সহায়তা পাচ্ছি না। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একবার সহায়তা করা হয়। সরকারি কিছু সহায়তা পেলে আমার জন্য ভালো হতো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>