<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হবিগঞ্জে মসজিদের টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় অর্ধশতাধিক লোককে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টঙ্গিরঘাট জামে মসজিদের ১৪ লাখ টাকা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় একই গ্রামের তাইবুল্লাহ ও আলহাজ মিয়ার মধ্যে। বর্তমানে মসজিদের কোনো কমিটি না থাকায় ওই টাকা আলহাজ মিয়া মসজিদের উন্নয়নকাজে ব্যয় করতে চান। অন্যদিকে তাইবুল্লাহ ওই টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে বলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নিয়ে শুক্রবার রাতে গ্রামে বৈঠক হয়। এ সময় আলহাজ মিয়ার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তাইবুল্লাসহ কয়েকজনের। ওই ঘটনায় গতকাল শনিবার উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে আলাছ মিয়া, আকল মিয়া, আফসর মিয়া, মাম্মদ আলী, মইনুল ইসলাম, জরিমান বেগম, মুশাহিদ, হাসান মিয়া, শ্যামল মিয়া, জনি মিয়া, আনছব আলী, মুন্না আক্তার, আতর আলী, ইসলাম উদ্দিন, আফজল মিয়া, জাকির আলী, মোহাম্মদ আলী, আহম্মদ আলী, কালাম মিয়া, শাহিদ মিয়াসহ কয়েকজনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, মসজিদের টাকা নিয়ে দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</span></span></span></span></span></p>
