<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুরে মামলা জটিলতায় প্রায় ১৪ বছর ধরে জায়গা সংকটে সার সংরক্ষণে হিমশিম খাচ্ছে বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ। সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ভাড়া করা গুদামের ধারণক্ষমতা পাঁচ হাজার টন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর নগরের আলমনগর কেডিসি রোড এলাকায় বাফার গুদাম। ২০২২ সালে বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শক্ত, জমাট বাঁধা সার বাদে অন্যগুলো নতুন বস্তায় ভর্তি করা হয়। এ সময় প্রকৃত ইউরিয়া সার পাওয়া যায় ১০৯৯.৮৫ টন। মামলা চলমান থাকায় আলামত হিসেবে সারগুলো সংরক্ষণ করতে বাধ্য হচ্ছে গুদাম কর্তৃপক্ষ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এখন বেশির ভাগ সময় অতিরিক্ত সার খোলা স্থানে স্তূপ করে রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যদিও সারের ওপর পলিথিন মোড়ানো থাকে। তবে বৃষ্টি ও সূর্যের তাপে সার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে সব সময়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাফার গুদাম সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের নূর ট্রেডিংয়ের সরবরাহ করা এক হাজার ৫৫০ টন ইউরিয়া সারে ত্রুটি ধরা পড়ে। সে সময় কর্তৃপক্ষ সারগুলো কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হলেও কোনো সমাধান হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সারগুলো গুদামে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে বিসিআইসি বাফার গুদাম রংপুরের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ও ইনচার্জ ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, তৎকালীন ইনচার্জ মুকুল মিয়া দায়িত্বে থাকার সময় এ ঘটনা ঘটে। মামলার আলামত হিসেবে এটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সারের বস্তাগুলো ছেঁড়া, ফাটা, কম ওজনসহ বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলায় বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টন, যা বিসিআইসির নির্ধারিত ১০৬ ডিলারের মাধ্যমে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়। গুদাম পরিচালনায় যে লোকবল রয়েছে, তাঁদের দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ টন সার সরবরাহ করা সম্ভব।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে বিসিআইসির প্রধান মো. মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। আলামত হিসেবে সারগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই বিচারাধীন বিষয়টি সমাধান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে অতি দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে জনসাধারণের সমস্যায় পড়তে না হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>