<p>শারমীন বেগমের (৪৭) পরিবার বেশ দরিদ্র। স্বামী নুরুল ইসলাম শ্রমিকের কাজ কিংবা হাত পেতে সংসার চালান। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তিনি থাকতেন ফারহানের ফুফুর জায়গায়। মাঝে মাঝে ফারহানদের বাড়ির কাজও করে দিতেন তিনি। সেই সুবাদে ফারহানকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন শারমীন বেগম। বলতে গেলে পারিবারিকভাবে ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাবার অসুস্থতার কথা বলে শারমীনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন ফারহান।</p> <p>এ ঘটনায় শারমীন বেগমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় হত্যাকাণ্ডের নির্দিষ্ট কোনো কারণের কথা উল্লেখ করা হয়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।</p> <p>পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফারহান অসংলগ্ন কথা বলছেন। তিনি বলতে চাইছেন- শারমীন বেগম তাকে তাবিজ করেছেন। তার এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সম্পত্তি নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছিলেন। এ জন্য তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।</p> <p>পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ফারহান জানিয়েছেন, বাবার অসুস্থতার কথা বলে শারমীনকে ডেকে নিয়ে যান ফারফান। প্রথমে ছুরি দিয়ে গলা কেটে শারমীনকে হত্যা করা হয়। এরপর পাশের একটি জমিতে মাথা পুঁতে রাখা হয়। সবশেষে শরীরের অংশ একটি কম্বলে পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েকে বিয়ে দিতে শারমীন তাকে তাবিজ করায় তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তিনি মনে করতেন, শারমীনের মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি নিয়ে যাওয়া হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দ্রুত নির্বাচন না দিলে মাঠে নামব : ফজলুর রহমান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/25/1735100801-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দ্রুত নির্বাচন না দিলে মাঠে নামব : ফজলুর রহমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/25/1461130" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফারহান চাইতেন শারমীনের এক মেয়েকে বিয়ে করতে। কিন্তু ফারহান মাদকাসক্ত হওয়ায় শারমীনের পরিবার রাজি ছিল না। এ ছাড়া চুরি করা হাঁস রান্না করে দিতে রাজি না হওয়ায় ফারহান এমন নৃশংস হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ত্রিভুজ প্রেম : দুজনের আত্মহত্যা, আরেক প্রেমিক আত্মগোপনে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/25/1735111387-a992f07d19721dbf74df68c1ed4e7c56.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ত্রিভুজ প্রেম : দুজনের আত্মহত্যা, আরেক প্রেমিক আত্মগোপনে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/25/1461171" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে জ্বলতে থাকা আগুনের কাছাকাছি ঘুরঘুর করছিলেন ফারহান। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে মারতে তেড়ে আসেন। পরে স্থানীয়রা দলবদ্ধ হয়ে ওই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরই মধ্যে পাওয়া যায় পোড়া মানবদেহ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক হত্যার কাহিনি। উদ্ধার করা হয় দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথা।</p>