<p>নিজের বিক্রি করা জমিতে তৈরি গুদাম জোর করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. মোমিনুর রহমান মমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গুদাম পুনরুদ্ধার ও অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহিন উদ্দিন বোরহান।</p> <p>গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে।</p> <p>লিখিত বক্তব্যে মাহিন বলেন, ‘দলের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের দুটি গোডাউন জমিসহ দখল করে নেন যুবদল নেতা মমিন। তিনি যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সহায়তায় ২০১৯ সালে বিক্রি করা জমি গোডাউনসহ দখল করেন। মমিন ও তাঁর ভাই মিলন ২০১৯ সালে আমার দুই চাচা আব্দুল ওয়াহাব ও আবু রায়হানের কাছে জমি বিক্রি করেন। পাঁচ বছর ধরে আমার দুই চাচা সেই জমিতে গোডাউন ঘর উঠিয়ে তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালপত্র রেখে আসছিলেন।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘মমিন বিভিন্ন সময়ে বিক্রি করা জমির ওপর চাঁদা দাবি করত। সর্বশেষ বিক্রীত জমির ওপর পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে, টাকা না পেয়ে গত ২৯ নভেম্বর লাঠি, রামদা, হকিস্টিক নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গোডাউনে রক্ষিত মালপত্র লুট করে এবং গোডাউন ঘর দখলে নিয়ে নেয়। এ সময় আমার এক বোনকে রামদার কোপে মাথায় জখম করে।’ মাহিন বলেন, ‘হামলার নেতৃত্ব মমিন নিজেই দেয়। লোকবল জোগান দেয় কাপাসিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী জিয়া, চণ্ডীপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন, যুবদলের কর্মী সোহেল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফয়যার। হামলা ও দখলের সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।’</p> <p>মাহিন আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর মমিন জামিন নিতে আদালতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠায়। আমরা জেনেছি, দখল করা গোডাউনে মমিন ইউনিয়ন যুবদলের অফিস দেওয়ার পাঁয়তারা করছে এবং পাশের জমিতে আমাদের মাদরাসা ও এতিমখানা দখলের পাঁয়তারা করছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কাজে ইন্ধন দিচ্ছে মমিন, জিয়া এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফয়জার। দিবালোকের মতো পরিষ্কার সব কিছুর ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। গোডাউনের সব দলিল, ডকুমেন্টস রয়েছে।’</p> <p> </p>