<p style="text-align:justify">কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর থেকে রুবিনা খাতুন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুবিনা খাতুন কুষ্টিয়া আদালতের জিআরও অফিসের পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। </p> <p style="text-align:justify">তিনি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার রামনগর গ্রামের আব্দুল শেখের মেয়ে। একই উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা আলাল শেখ (৩০) তার স্বামী। তারা কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৪৮ কেজি পণ্য দিলে ৪০ কেজির দাম পান কৃষক!" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/26/1735180761-3cf42437c4b0a4f073a3d29e88b94bad.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৪৮ কেজি পণ্য দিলে ৪০ কেজির দাম পান কৃষক!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/26/1461487" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, 'রুবিনা কুষ্টিয়া আদালতে নারী কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।'</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/26/1735179819-01e40e3674e7b644078da38ac5e77f24.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/12/26/1461486" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পুলিশ সদস্য রুবিনা। ছেলে-মেয়েরা নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বুধবার ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে ছিলেন। সারাদিন সহকর্মীরা রুবিনাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে না পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের পরিচিত এক প্রতিবেশীকে ব্যাপারটি জানায়। এরপর ওই প্রতিবেশীর স্ত্রী এসে রুবিনার স্বামীকে জানায়। </p> <p style="text-align:justify">তখন স্বামী আলাল জানায়, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সকাল থেকে সে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে আছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানার পর সহকর্মীরা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে রুবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/26/1735180687-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/26/1461485" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">নিহতের স্বামী আলাল শেখ বলেন, 'আমার স্ত্রী খুব রাগী মানুষ ছিল। একটু রাগ হলেই ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। আজকে সকালের দিকেও তার সঙ্গে আমার রাগারাগি হয়। এরপর সে ঘরের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে। পরে দুপুরের দিকে সে একটি কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকবার ডাকাডাকি ও মোবাইলে কল করলেও সে সাড়া দেয়নি। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। এরপর সন্ধ্যার দিকে দরজা ভেঙে দেখা যায় তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।'</p>