<p>গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু ১৭ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন। এতে তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গল ও বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আনন্দ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। তার নির্বাচনী এলাকা গোপালপুর-ভূঞাপুরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।</p> <p>পিন্টু টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তার ছোই ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিএনপির প্রচার সম্পাদক এবং ছাত্রদল-যুবদলের সাবেক সভাপতি।</p> <p>মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান পিন্টু। তার মুক্তির অপেক্ষায় টাঙ্গাইল থেকে শত শত নেতাকর্মী সকালেই কারাফটকে উপস্থিত হন। সেখানে প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।</p> <p>অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দিনে কাশিমপুরে যাননি জেলা বিএনপির শীর্ষ কতিপয় নেতা। দলের একজন ত্যাগী নেতা দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্তি পেলেন। অথচ তাকে রিসিভ করতে না যাওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।</p> <p>টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম মোল্লা রোকন বলেন, ‘গণমানুষের নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু যখন জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন আমার বাবা মরহুম আলী আকবর মোল্লা গোপালপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই তাকে খুব কাছ থেকে দেখার এবং জানার সুযোগ হয়েছে। তিনি শুধু নেতা নন, টাঙ্গাইলসহ গোপালপুর-ভূঞাপুরের জনগণের অভিভাবক। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার মুক্তিতে টাঙ্গাইলের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আনন্দের জোয়ার বইছে।’</p> <p>পিন্টুর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, ‘সালাম পিন্টু আমাদের নেতা। তিনি টাঙ্গাইলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অবশেষে নিরপেক্ষ রায়ে সত্যের জয় হয়েছে। তিনি মুক্তি পেয়ে আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন। এটা আমাদের জন্য পরম পাওয়া এবং দলের জন্য শুভকর।’</p> <p>টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে থাকেন। ১ ডিসেম্বর খালাস এবং মঙ্গলবার কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস দেন হাইকোর্ট।</p>