গাজীপুর

ঘোড়ার মাংস নিয়ে তুলকালাম

  • ভোর থেকে লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা
  • ভিন্ন জেলা থেকেও আসছেন নারী-পুরুষ
  • বিপাকে স্থানীয় গরুর গোস্ত ব্যবসায়ীরা
শরীফ আহমেদ শামীম, গাজীপুর
শরীফ আহমেদ শামীম, গাজীপুর
শেয়ার
ঘোড়ার মাংস নিয়ে তুলকালাম
ঘোড়ার মাংস কিনতে অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা। ছবি : কালের কণ্ঠ

ফজরের পর থেকে লাইনে অপেক্ষা। অগ্রিম টাকা দিয়ে টোকেন হাতে অপেক্ষায় সবাই। গত শুক্রবার গাজীপুর মহানগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দ্রাবাদের আততাকওয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ লাইনে এমন অপেক্ষা ছিল ঘোড়ার মাংস কিনতে। কেউ এসেছেন দাম কম শুনে।

কেউ এসেছেন স্বাদ উপভোগ করতে। আবার কেউ এসেছেন জীবনী শক্তি বৃদ্ধির ওষুধ ভেবে খাওয়ার জন্য। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ১২টি ঘোড়ার মাংস বিক্রি হয়। তখনও শতাধিক ক্রেতা মাংসের জন্য টাকা দিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন।

তিন মাস আগে ঘোড়ার মাংস বিক্রির প্রচলন শুরু করেন এলাকার দুই বন্ধু শফিকুল ইসলাম ও নুরুল্লাহ মামুন। দুবাই ভ্রমণে গিয়ে ঘোড়ার মাংস খেয়ে আকৃষ্ট হন তাঁরা। দেশে ফিরে নিজেরা খাওয়ার জন্য প্রথমে ঘোড়া কিনে এনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন। জামালপুর, কুড়িগ্রাম এসব জেলা থেকে কিনে আনা হয় ঘোড়া।

চাহিদা বাড়ায় প্রতি শুক্রবার জবাই করতেন একটি ঘোড়া। পরে দুটি, তিনটি। দুই সপ্তাহ আগেও তিন-চারটি জবাই করে আড়াই শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতেন। এখন চাহিদা বেড়েছে আশাতীত। বাড়ানো হয়েছে দামও।
তার পরও অনেকে ১০-১২  কেজি কিম্বা তাঁর চাইতে বেশি মাংস কিনে নিচ্ছেন।

নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মণদি এলাকা থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, আগে কখনো ঘোড়ার মাংস খাইনি। শুনেছি মধ্যপ্রাচ্যে এটি জনপ্রিয়। দেশেই পাওয়া যায় শুনে সকাল ৮টার দিকে কিনতে এসেছি স্বাদ টেস্ট করব ভেবে। টাকা দিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এখনো মাংস হাতে পাইনি।

টঙ্গীর এরশাদ নগর থেকে আসা আলেয়া খাতুন (৫০) বলেন, এক কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। গরুর মাংস কিনে খেতে পারি না। সেই তুলনায় ঘোড়ার মাংসের দাম অনেক কম। শুনেছি স্বাদও গরুর মতোই। তাই কিনতে এসেছি।

মাংস বিক্রেতা নূরুল্লাহ মামুন বলেন, ভোর থেকে দূর-দূরান্ত এমনকি বাইরের জেলা থেকে লোকজন ঘোড়ার মাংসের জন্য এসেছেন। ভিড়ের কারণে টোকেন ও লাইনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত ১৪টি ঘোড়া জবাই হয়েছে। এখনো অনেক লোক টাকা দিয়ে অপেক্ষা করছেন। ঘোড়ার মাংস হালাল না হারাম, এই নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ থাকায় শুরুতে চাহিদা কম ছিল। এখন সবাই জেনে গেছে ধর্মীয় দৃষ্টিতে ঘোড়ার মাংস খেতে সমস্যা নেই। চাহিদার কারণে আজ শনিবারের জন্য কিছু টোকেন অগ্রিম দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভূরুঙ্গামারীতে ২০০০ ইয়াবা জব্দ বিজিবির

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভূরুঙ্গামারীতে ২০০০ ইয়াবা জব্দ বিজিবির

ভূরুঙ্গামারীতে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ বাশজানী গ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় একদল মাদক কারবারিকে ধাওয়া করে এসব ইয়াবা জব্দ করেন বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি জানিয়েছে, শনিবার বিকেলের দিকে দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের টহলকারী দল আনন্দবাজার এলাকায় সন্দেহজনক একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা মোটরসাইকেল ও ইয়াবা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা দিয়াডাঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যান।

মন্তব্য

সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে লুট

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে লুট

ধামরাই থানাসংলগ্ন কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে অজ্ঞান করে আসবাবপত্র তছনছ করে সোয়া দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার দুপুরে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী।

কালের কণ্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি আবু হাসানের ছেলে মোহাম্মদ তানভির জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বোরকা পরা দুজন মহিলা, তাঁদের সঙ্গে বাচ্চা এক ছেলে ও ২০-২২ বছরের এক যুবক বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে প্রধান ফটকের ভেতরে ঢোকেন। এ সময় আকস্মিকভাবে পেছন থেকে তাঁর (তানভির) মুখে রুমাল চেপে ধরেন ওই যুবক। এরপর ওই যুবক অজ্ঞান হয়ে গেলে ভবনের ভেতরে ঢুকে পাঁচটি কক্ষের আলমারি, ওয়ার্ডরোব, শোকেস ও ট্রাঙ্কের তালা খুলে জিনিসপত্র তছনছ করে ওয়ার্ডরোবে থাকা সোয়া দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য

অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য। রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না সরকারি খাসজমিও। এতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

সরেজমিনে উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, সুয়াবিল, রোসাংগিরী, জাফতনগর, নারায়ণহাট ও লেলাং ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ওভারলোড যানবাহনের ছোটাছুটি। রাতের আঁধারে সমতল কৃষি ও বনভূমি মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্যে পুকুর-খালে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সিন্ডিকেট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কৃষিজমির উর্বর মাটি কাটছে। পাইন্দং ইউনিয়নের বাসিন্দা নিয়াজ মোরশেদ বলেন, রাতের আঁধারে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই যানবাহনের চলাচলে রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে হুমকির শিকার হতে হয় তাদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। সুনির্দিষ্ট সংবাদ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ল বোরোক্ষেত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ল বোরোক্ষেত

যশোরের কেশবপুরে দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে এক কৃষকের ৯৩ শতক জমির বোরো ধান। গত বুধবার রাতের আঁধারে ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে বোরো ক্ষেতটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছেন, ওই ক্ষেতের ধান কোনোভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ঘটনা উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক।

কৃষক বুলু সরদার বলেন, ওই ৯৩ শতক জমিতে প্রায় ৮০ মণ বোরো ধান উৎপাদন হতো। ধানে থোড় এসেছিল। কিন্তু এর আগেই দুর্বৃত্তরা ক্ষেতের ধান শেষ করে দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে ধানক্ষেতটি পুড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষেতের ধান আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই ধানক্ষেতটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ