লাহোর থেকে প্রতিনিধি : একটু আগেই সংবাদ সম্মেলনে একটানা নানা ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন তিনি। সেই পর্ব শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করায় থামলেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচ আকিব জাভেদ। তাঁর দল এবং নাজমুল হোসেনদের এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একই পরিণতি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় দুই দলের।
এমন বিদায়ে নিজ দলের সঙ্গে বাংলাদেশের মিলও খুঁজে পেলেন পাকিস্তানের সাবেক এই ফাস্ট বোলার, ‘কোনো দলকে হারাতে গেলে তাদের চেয়ে ভালো খেলতে হবে অথবা সমমানের হতে হবে। এ জন্যই তো এটিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বলা হয়। এখানে আপনার তিনটি সুযোগ। যদি দুই ম্যাচেই হেরে বসেন, তাহলে সব শেষ।’
পাকিস্তান আর বাংলাদেশের শেষ একইভাবে হয়েছে এই আসরে। তবে নাজমুলদের একটি জায়গায় অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়েই থাকতে দেখেছেন আকিব, ‘ভারতের পর বাংলাদেশই অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল। কিন্তু যেভাবে ওদের পারফরম করার দরকার ছিল, সেভাবে তারা পারেনি।’ এই না পারায় দলের অভিজ্ঞতম দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদ উল্লাহর দায়ও কম নয়।
দেশে ফিরে যাওয়ার পর তাঁদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার বার্তাও মিলেছে বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ বিষয়ে কিছুটা ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করলেও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে চিত্রটি একেবারেই ভিন্ন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) একরকম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থায় গেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ এবং আগামী বছরের কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপ সামনে রেখে তারা মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলে নতুন দিনের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছে।
আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেই তারা রাখেনি দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে।
এই সংস্করণের নেতৃত্ব তারা তুলে দিয়েছে আগা সালমানকে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সের পেছনের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আকিব জাভেদের পাশেই বসা ছিলেন তিনি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অনুরোধে সাড়াও দিলেন। ঘরের মাঠের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায়ের বিষাদ ভুলে নতুন অধিনায়কও তাকালেন সামনে, ‘হতাশার তো বটেই। তবুও জীবন চালিয়ে নিতে হবে এবং দৃষ্টিটা থাকতে হবে সামনে।’ সামনে তাকাতে গিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাবর-রিজওয়ান অধ্যায়ের ইতিই টেনে ফেলা হয়েছে একরকম। তবে ওয়ানডেতে এখনো নেতৃত্ব ধরে রেখেছেন রিজওয়ান। নিউজিল্যান্ড সফরেও এই সংস্করণে তিনিই অধিনায়ক। তবে ওয়ানডে দল থেকে ফাস্ট বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে বাদ দিয়েও অভিজ্ঞদের কড়া বার্তা দিয়ে রাখা হয়েছে।
পিসিবির পথ ধরে বিসিবিও কি সে রকম কোনো কিছুই করবে?