হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হামজা চৌধুরীকে ঘিরে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এলাকার সব বয়সের সব পেশার মানুষের অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় বিখ্যাত অতিথিকে বরণ করে নেওয়ার জন্য।
গ্রামের নাম স্নানঘাট, হামজা চৌধুরীর পৈতৃক ভিটা এই গ্রামে। সেই সূত্রে আগে এসেছেন এখানে।
তাই স্নানঘাট একেবারে অচেনা নয় বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজার। তবে তাঁর এবারের আগমনে ভিন্ন আমেজ আছে। স্নানঘাটে একটু ঘুরলে বোঝা যাবে নতুন মানুষ ঢুকেছে। আর হামজার বাবা দেওয়ান মোরশেদের বাড়ির প্রবেশপথ সাজানো হচ্ছে, ইজি বাইক ভর্তি করে বিশুদ্ধ পানির বোতল ঢুকছে। দেওয়ান মোরশেদের বাড়ির দুটো প্রবেশপথ। একটি শুধু হামজা পরিবারের সদস্যদের জন্য, আর অন্যটি উত্সুক জনতার জন্য।
সেই উত্সুক জনতার একজন আজিজ সিদ্দিকী, যিনি শিশু হামজাকেও দেখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ওর ফুটবলে নেশা ছিল। গলায় বুট ঝুলিয়ে ঘুরত।
’ স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন স্মৃতিচারণা করেন, ‘তখন ওর বয়স সাত-আট হবে। গ্রামে এলে ওর চুল ধরে দেখতাম, এটা কেমন চুল!’ ঝাঁকড়া চুলের কিশোর হামজা গ্রামের পুকুরে মাছও নাকি ধরতে দেখেছে প্রতিবেশীরা। সেই সাধারণ কিশোরকে নিয়ে আজ মেতে উঠবে পুরো দেশ—হবিগঞ্জের স্নানঘাট গ্রামের মানুষদের কাছে এ এক নতুন অভিজ্ঞতা।
মোটরসাইকেল থামিয়ে স্থানীয় ফার্মেসির নাসির উদ্দিন বললেন, ‘হামজা আমার দোকানে এসে ওষুধ চেয়েছিল। ও জানত না ওষুধের দোকান আলাদা হয়।
আমি দেখালাম এই দোকান থেকে কিনতে। সে তখন সাইকেলে দুইটা তালা মারল। বুদ্ধি আছে! ভালো ফুটবল খেলত। হামজার সঙ্গে কেউ দৌড়ে পারত না।’
সিএনজিচালক শাহবাজের স্মৃতিতে এভাবেই আছেন হামজা, ‘সারা দিন ফুটবল খেলত। সন্ধ্যার পর অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত ফুটবল খেলত।’ সিএনজির এক সহযাত্রীর গর্ব, ‘হামজা এখন আমাদেরও সন্তান।’ স্থানীয় বিএনপির স্নানঘাট ইউনিয়নের সভাপতি ঈমাম শরীফ চৌধুরী জুয়েল জানান, ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করা হবে।