ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল জুতা পায়ে শুরু হোক স্কুলের আনন্দ

  • নতুন বছর স্কুল শুরু হওয়ার সাথে সাথে শিশুদের ছুটোছুটিও শুরু হয়ে যাবে। তাই স্কুল শুরুর আগে সন্তানকে পুরোপুরি তৈরি করাটা জরুরি। এজন্য সন্তানের স্কুলের জার্নিতে ওকে সবসময় সুরক্ষিত রাখতে চাই ‘বাটা বি-ফার্স্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্কুল সু’
শেয়ার
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল জুতা পায়ে শুরু হোক স্কুলের আনন্দ
মডেল : নক্ষত্র

শিশুরা ক্লাসের ফাঁকে সারাদিন বন্ধুদের সাথে দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি, খেলাধুলা করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এক্ষেত্রে তারা যে স্কুল সু ব্যবহার করে সেটা যেন আরামদায়ক ও টেকসই হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয় বাবা-মাকে। এছাড়াও অনেক সু রয়েছে যা একটানা দীর্ঘ সময় পরে থাকার কারণে পা ঘেমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় আর চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশংকা থাকে। শিশুদের পা অত্যন্ত কোমল হওয়ায় ঘাম থেকে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া তাদের দ্রুত আক্রমণ করে।

ফলে পরবর্তিতে শিশুরা অসুস্থ হতে পারে যা মূলত এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ‘বাটা বি-ফার্স্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্কুল সু’ হচ্ছে শিশুদের জন্য সেরা অপশন।

‘বাটা বি-ফার্স্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্কুল সু’ খুবই আরামদায়ক ও টেকসই। এছাড়া এটি ঘাম থেকে হওয়া ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে আর ঘামের দুর্গন্ধও প্রতিরোধ করে।

তাই শিশুরা স্কুলে যতই দৌড়াদৌড়ি, লাফঝাপ আর খেলাধুলা করুক না কেন তাদের সুরক্ষা নিয়ে বাবা-মায়েরা থাকেন নিশ্চিন্তে।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল জুতা পায়ে শুরু হোক স্কুলের আনন্দ
ছবি : সংগৃহীত

এই বিশেষ রেঞ্জে রয়েছে দুই ধরনের জুতো সাদা ও কালো, যা স্কুল ইউনিফর্মের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই। বাটা বি-ফার্স্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্কুল সু দেখতে যেমন স্টাইলিশ, তেমনি আরামদায়ক এবং টেকসই। সাদা জুতো স্কুলের প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য পারফেক্ট এবং কালো জুতো স্কুল ইউনিফর্মের ফরমাল লুকের জন্য আদর্শ।

এদের প্রতিটি জুতোতে ব্যবহূত হয়েছে উন্নতমানের উপকরণ, যা নিশ্চিত করে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার এবং সর্বোচ্চ সুরক্ষা।

এছাড়াও, এই জুতোগুলো ডিজাইনে এতটাই আধুনিক যে তা শিশুরা স্কুলের বাইরে অন্যান্য কার্যক্রমেও ব্যবহার করতে পারে। আরামদায়ক সোল, মজবুত সেলাই, এবং উন্নত এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রযুক্তি বাচ্চাদের প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এটিকে আরো বেশি উপযুক্ত করে তুলেছে।

জুতা

বর্তমানে ‘বাটা বি-ফার্স্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্কুল সু’বিভিন্ন সাইজ ও দামে বাটার যেকোনো স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। আরও আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এখন এই রেঞ্জের যেকোনো জুতো কিনে বিকাশ থেকে পেমেন্ট করলে থাকছে ১০% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক!

তাই আর দেরি না করে আজই চলে যান নিকটস্থ বাটা স্টোরে অথবা অনলাইনে বাটার ওয়েবসাইটে।

আপনার সন্তানের স্কুল শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে এবং তাদের প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপে সুরক্ষিত রাখতে ‘বাটা বি-ফার্স্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল স্কুল সু’-ই হোক আপনার প্রথম পছন্দ।

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মেহেদি রাঙানো ঈদ

    চাঁদরাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায়। মেহেদির রং-নকশায় জমে ওঠে ঈদ। কোন হাতে কেমন নকশা, হালকা নকশা নাকি ভরাট, কোনটিতে মানাবে কাকে, রং গাঢ় করার উপায় নিয়ে ডিজাইনারের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন ফাতেমা ইয়াসমীন
শেয়ার
মেহেদি রাঙানো ঈদ
ঈদে একটু ভারী নকশার মেহেদি ভালো মানাবে। ছবি : সংগৃহীত

একসময় মেহেদি পাতা বেটে হাতে লাগানোর চল ছিল, যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং কিছুটা কষ্টসাধ্য। টিউব মেহেদির কল্যাণে এখন খুব সহজেই দৃষ্টিনন্দন নকশা আঁকা যায়।

নকশায় বৈচিত্র্য

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে মেহেদির নকশায় এসেছে বৈচিত্র্য। ফুলেল, চরকা, পানপাতা, ময়ূর, জ্যামিতিক মোটিফের নকশাই বেশি জনপ্রিয়।

কারো পছন্দ হালকা ডিজাইন, আবার কেউ চায় হাত ভরা নকশা। ফিউশন ডিজাইনে কালো মেহেদি দিয়ে আউটলাইন করে লাল মেহেদি দিয়ে ভেতরের অংশ পূরণ করাও বেশ জনপ্রিয় এখন। হাতের গড়ন কেমন তার ওপর ভিত্তি করেও মেহেদির ডিজাইনের তারতম্য করতে হয়। যাদের হাত বড় তাদের হাতে ভরাট ও বড় আকৃতির নকশা মানানসই।
যাদের হাত ছোট তাদের হাতে লম্বালম্বি ডিজাইন ভালো দেখায়।

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মেহেদি ডিজাইন

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মেহেদির ডিজাইন করলে সাজ পায় পূর্ণতা। শাড়ির সঙ্গে দুই হাত ভরে নকশা করলে ভালো লাগবে। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হাতের তালুতে বেশি নকশা রেখে ওপরটা হালকা রাখুন।

লম্বা কামিজের সঙ্গে কনুই পর্যন্ত মেহেদি না পরাই ভালো। হাতকাটা পোশাকের সঙ্গে বাহুতে বাজুবন্ধের মতো নকশা দেবে ভিন্ন মাত্রা।

মেহেদির রং গাঢ় করার উপায়

মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে নিন। মেহেদি শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে ফেলুন, পানি দেবেন না। চায়ের লিকার ও লেবুর রস ব্যবহার করলে রং আরো গাঢ় হয়।

সরিষার তেল মাখলে রং দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা তাত্ক্ষণিক মেহেদি পরার কথা ভাবছেন তাঁরা মেহেদি দেওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে ঘষে হাত পরিষ্কার করে নেবেন, যেন মেহেদিতে থাকা রাসায়নিক হাতে লেগে না থাকে। যাঁরা তাড়াতাড়ি রং উঠিয়ে ফেলতে চান, হাতের ওই অংশটুকুতে পেস্ট লাগিয়ে শুকানোর পর ঘষে তুলে ফেলুন। সঙ্গে লেবু বা কাঁচা হলুদ দিয়েও ঘষে দেখতে পারেন।

মেহেদি লাগানোর সহজ কৌশল

ডিজাইনের জন্য আগে থেকে কিছু মোটিফ দেখে নিন। টিস্যু পেপার, টুথপিক বা আলপিন সঙ্গে রাখুন। মেহেদি দেওয়ার সময় নড়াচড়া কম করুন। এতে নকশা নষ্ট হবে না। জামা-কাপড়েও লাগবে না। যাঁরা বাসায় মেহেদি পরতে অভ্যস্ত নন তাঁরা ঈদের আগের দিন পার্লার থেকে মেহেদি নকশা করিয়ে আনতে পারেন।

খরচ

পার্লারভেদে মেহেদি লাগানোর খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। দুই হাত ভরে ঘন নকশার খরচ ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। হালকা নকশার খরচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। হাতের মাঝখানে ডিজাইনে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। কনুই পর্যন্ত নকশা করতে খরচ পড়বে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা। শিশুদের মেহেদি করাতে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। বেশির ভাগ পার্লারে এই খরচের মধ্যেই আপনার পছন্দমতো নকশা করিয়ে নিতে পারবেন।

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের আগে চুল ও ত্বকের যত্ন

    ঈদের আগে পার্লারে যাওয়ার ফুরসত পাচ্ছেন না অনেকে। তাঁরা ঘরে বসেই সেরে নিতে পারেন ত্বক ও কেশচর্চা। সহজলভ্য উপাদান দিয়েই করতে পারেন চুল ও ত্বকের যত্ন। জানাচ্ছেন বিন্দিয়া বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি
শেয়ার
ঈদের আগে চুল ও ত্বকের যত্ন
ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে লাবণ্যময় ত্বক। মডেল : রিভা

হেয়ার স্পা

নারকেল, জলপাই ও কাঠবাদামের তেল সমান অনুপাতে নিয়ে হালকা গরম করুন। আঙুলের ডগায় তেল লাগিয়ে চুলের নিচ থেকে ওপরে ম্যাসাজ করুন। পুরো মাথায় ম্যাসাজ হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে একটা তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চুলসহ পুরো মাথায় কিছুক্ষণ পেঁচিয়ে রাখুন।

এভাবে তিনবার চুলে গরম পানির ভাপ দিন। এবার হেয়ার প্যাক লাগোনোর পালা। আধাকাপ টক দই অথবা তরল দুধ, একটা পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ মধু নিন। প্রথমে টক দই, কলা ও অ্যালোভেরার শাঁস ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
মধু মেশান। রুক্ষ ও স্বাভাবিক চুলের জন্য এই প্যাক কার্যকর। তৈলাক্ত চুলে এই প্যাকে মধুর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডর ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন।
এক ঘণ্টা পর প্রথমে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পুর পর চুল মুছে কন্ডিশনার লাগান। দুই মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং ঈদের এক দিন আগে করুন হেয়ার স্পা।

 

ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে লাবণ্যময় ত্বক। মডেল : রিভা
ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্ন ফলের প্যাকে উপকার পাবেন।
মডেল : ইতি।ছবি : মনজু আলম

ফেসিয়াল

আঁটসাঁট করে চুল বেঁধে তুলার বলে অলিভ অয়েল লাগিয়ে মুখমণ্ডলে বুলিয়ে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার স্ক্রাবিংয়ের জন্য ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে আধা টেবিল চামচ মসুর ডালের গুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। হালকাভাবে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করুন। শেষ হলে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। মাঝারি আকৃতির হাঁড়িতে ফুটন্ত গরম পানি ঢালুন। চাইলে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করতে পারেন। চোখ বন্ধ করে বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ওই হাঁড়ির পানির ভাপ নিন। এভাবে ৫ মিনিট ভাপ নিয়ে আলতো করে মুখ মুছে খুব সাবধানে রিমুভার স্টিক দিয়ে ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস বের করুন। ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস রিমুভ হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। এবার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিউটি মাস্ক লাগিয়ে নিন।

মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে শসা গ্রেট করে দুই চোখের ওপর দিয়ে ২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। সব শেষে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ফেসিয়াল করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগের সময়টি বেছে নিন।

 

পেডিকিউর-ম্যানিকিউর

পছন্দমতো আকৃতিতে হাত ও পায়ের নখ কেটে নিন। ফাইলার দিয়ে ফাইল করুন। হালকা গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ লবণ ও সামান্য মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে হাত ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে আঙুলের নখ, নখের চারপাশ, কনুইসহ পুরো হাত পরিষ্কার করুন। কিউটিক্যাল কাটার দিয়ে নখের পাশের কিউটিক্যাল ফেলে দিন। হাত ধুয়ে মুছে নিন। এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, এক টেবিল চামচ বেসন ও দুই টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে স্ক্রাবার বানিয়ে হাতের নিচ থেকে ওপরে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। একই পদ্ধতিতে পায়েও ক্লিনজিং ও স্ক্রাবিং করুন। পামস্টোন দিয়ে ঘষে পায়ের ময়লা ও মরা কোষ পরিষ্কার করুন। এবার হাত ও পায়ে লাগানোর জন্য মুলতানি মাটি, চন্দন পাউডার, গোলাপজল, মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। অথবা পাতিলেবু, হলুদ, চন্দন, মধু, অ্যালোভেরা, শসা, টক দই ইত্যাদি দিয়ে নিজের ত্বক অনুযায়ী বানিয়ে নিন ইচ্ছামতো প্যাক। ব্রাশের সাহায্যে হাত ও পায়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ভেজা হাতে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। স্বাভাবিক পানি দিয়ে হাত ও পা ধুয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ব্যাস ঈদের আগেই ঘরে বসে সারা হয়ে গেল ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর।

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য

ঈদের দুপুর রাতে

    রোস্ট, বিরিয়ানি না হলে উত্সব ঠিক জমে না। ঈদের দিন দুপুর ও রাতে মাংসের সঙ্গে রাখতে পারেন মাছও। তিনটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজিয়া ফারহানা
শেয়ার
ঈদের দুপুর রাতে

মুরগির আচারি রোস্ট

 

উপকরণ

 

মুরগি একটি, পাঁচফোড়ন ২ চা চামচ, শুকনা মরিচ কুচি, মিষ্টি দই ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, কিশমিশ, বেরেশতা বাটা, গুড় ১ টেবিল চামচ করে, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।

 

রোস্ট, বিরিয়ানি না হলে উত্সব ঠিক জমে না।

যেভাবে তৈরি করবেন

 

১.   মুরগি কাঁটাচামচ দিয়ে ভালো করে কেচে অল্প তেল ও ঘিয়ের মধ্যে হালকা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন।

২.   বাকি তেল ও ঘিয়ে পাঁচফোড়ন ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা নেড়ে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন।

৩.   এবার ভেজে রাখা মুরগি দিয়ে কষিয়ে ২৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। বেরেশতা বাটা ও গুঁড় দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে পোলাও, বিরিয়ানি অথবা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

 

 

মাটন লেগ রোস্ট

উপকরণ

খাসির রানের মাংস ১ কেজি, টক দই ২০০ গ্রাম, গরম মসলা ১ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি লাল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা দেড় টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জায়ফল বাটা ১টি, জয়ত্রি বাটা ১ টেবিল চামচ, মৌরি ১ টেবিল চামচ, মালাই ৪ টেবিল চামচ, মাওয়া আধাকাপ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, ঘি আধাকাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতার কুচি সামান্য।

" height="483" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/Magazine 2023/24-03-2025/k019.jpg" width="800" />

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   মাংস ভালো করে ধুয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে একটু খুঁচিয়ে নিতে হবে। এরপর পানি, মৌরি, ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ম্যারিনেশনের জন্য।

২.   এরপর ফ্রিজ থেকে প্যানে ঘি গরম করে তাতে মৌরির ফোড়ন দিন। এবার ম্যারিনেট করা খাসির রান দিয়ে দিন।

অল্প আঁচে কষিয়ে নিন।

৩.   মাংস থেকে পানি বের হতে শুরু করলে সামান্য গরম পানি দিন। এরপর অল্প আঁচে ২-৩ ঘণ্টা মাংসের দুই পিঠ উল্টেপাল্টে রান্না করুন। এখন এতে মৌরি ও ঘি দিয়ে দিন।

৪.   মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল শুকিয়ে এলে আরেকটি পাত্রে নিয়ে পরিবেশন করুন মাটন রোস্ট।

 

প্যান গ্রিল কোরাল

উপকরণ

কোরাল মাছের ফিলে ৭০০  গ্রাম, লেবুর রস আধাকাপ, সি সল্ট ও কালো গোলমরিচের গুঁড়া দেড় চা চামচ করে, মাখন ৫০ গ্রাম, ফুল ক্রিম দেড় টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, ঘি আধা চা চামচ, জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ, কয়লা এক টুকরা, জাফরান ৮ থেকে ১০টি।

রোস্ট, বিরিয়ানি না হলে উত্সব ঠিক জমে না।

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   মাছের ফিলে ধুয়ে কিচেন টাওয়েল দিয়ে পানি মুছে নিন। ফিলে দুটি ৬ টুকরা করে একটি ছড়ানো পাত্রে নিয়ে লেবুর রস, সি সল্ট ও গোলমরিচের গুঁড়া মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।

২.   গ্যাসের চুলায় কয়লা গরম হতে দিন। একটি পাত্রে ৩০ গ্রাম গলানো মাখন নিয়ে তাতে জাফরান ও বাকি লেবুর রস ও ফুল ক্রিম দিয়ে মিনিট দুয়েক চুলায় জ্বাল দিন।

৩.   চুলায় গ্রিল প্যান দিন। প্যান গরম হলে তাতে জলপাই তেল দিন। মাখন ২০ গ্রাম যোগ করুন। মাখন গলে এলে রসুন দিন। খানিকটা সতে নিন।

৪.   এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাছগুলো সাবধানে প্যানে রসুনের ওপর বসিয়ে দিন। চুলার আঁচ চড়া থাকবে এ সময়। এক পাশ গ্রিল হলে সাবধানে উল্টে দিন। দুই পাশে সমানভাবে রান্না হলে ছোট একটু ফয়েল পেপার গোল করে নিয়ে তার ওপর কয়লা রেখে ওপরে আধা চা চামচ ঘি দিন।

৫.      ধোঁয়া বের হলে চুলার আঁচ বন্ধ করে প্যানের ওপর ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। এরপর ঢাকনা খুলে পাত্রে সাজিয়ে লেবুর রস আর জাফরানের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

 

 

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

শেয়ার
ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

ঈদের সকালে পাতে মিষ্টি থাকেই। রাখতে পারেন চেনা-অচেনা নানা পদ। পাঁচটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী লিপি ইসমাইল

 

তরমুজের নেকলেস সন্দেশ

 

উপকরণ

 

এক কাপ গ্রেট করা তরমুজ, এক কাপ সুজি, হাফ টিন কনডেন্সড মিল্ক, হাফ কাপ গুঁড়া দুধ, হাফ কাপ কাজুবাদাম পেস্ট, দুই টেবিল চামচ ঘি, ডেকোরেশনের জন্য ড্রাই ফুট এবং তরমুজের জেলো প্রয়োজনমতো।

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

যেভাবে তৈরি করবেন

 

১. একটি পাত্রে চুলার আঁচ কমিয়ে ঘি দিয়ে সুজি দিন এবং হালকা করে ভেজে নিন।

২. এরপর এতে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন যেন নিচে না লেগে যায়।

৩. মিশ্রণটি ঘন ও পাত্র থেকে আলাদা হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। একটি ডিশে ঘি ব্রাশ করে এতে তরমুজের মিশ্রণ সমান করে রেখে ঠাণ্ডা হলে পছন্দসই আকারে কেটে বাদাম ও তরমুজের জেলো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। ব‍্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার তরমুজের নেকলেস সন্দেশ।

 

ইনস্ট্যান্ট খেজুর সেমাই মিল্কি বাইটস

উপকরণ

 

সেমাই এক প‍্যাকেট, ঘি আধাকাপ, কনডেন্সড মিল্ক এক কাপ, নরম খেজুর কুচি এক কাপ (বীজ ছাড়ানো), গুঁড়া দুধ আধাকাপ, ড্রাই ফ্রুট

আধাকাপ।

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   অল্প আঁচে কড়াইয়ে ঘি গরম করে ছোট করে সেমাইগুলো ভেঙে ঘির মধ্যে দিয়ে ভালো করে নেড়ে খেজুর দিয়ে মিলিয়ে নিন।

২.   এবার এতে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে নেড়ে গুঁড়া দুধ ও ড্রাই ফুট দিয়ে সব উপকরণ ভালো করে মিলিয়ে নিন।

৩.   একটি ডিশে ঘি ব্রাশ করে খেজুর সেমাইয়ের মিশ্রণ সমান করে সেট করে নিন নরমাল টেম্পারেচারে।

৪.   ঠাণ্ডা হয়ে এলে পছন্দসই আকারে কেটে ওপরে বাদাম ও খেজুর দিয়ে পরিবেশন করুন চটজলদি চিনি ছাড়া মজাদার এই ঈদ স্পেশাল ডেজার্ট।

 

ছানার পায়েস

উপকরণ

১.৫ লিটার দুধ, আধাকাপ পোলাওর চাল, এক কাপ ছানা, দুটি এলাচ, আধাকাপ গুঁড়া দুধ, এক কাপ চিনি।

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   প্রথমে দুধ চুলায় বসিয়ে নিন এবং চাল আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে আধাভাঙা করে নিন।

২.   এবার চাল দুধের সঙ্গে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। এরপর এতে দুটি এলাচ দিন।

৩.   চাল সিদ্ধ হয়ে কিছুটা ঘন হয়ে এলে ছানা দিন। ছানা দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। এরপর এতে গুঁড়া দুধ দিয়ে আবারও ভালো করে নাড়ুন।

৪.   এবার এতে চিনি দিয়ে আবারও ঘন ঘন নাড়তে হবে। চিনি গলে এলে এবং মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ছানার পায়েস।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ