<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাগ সবারই হয়, তবে বহিঃপ্রকাশ হয় ভিন্ন। হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে রাগ। যখন মানুষ অতিরিক্ত রেগে যায় তখন তার শরীরে স্ট্রেস হরমোন অনেক বেশি নিঃসৃত হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, রক্তনালি শক্ত হয়ে যায় এবং সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে, অনেক সময় রক্তনালি ছিঁড়ে যায় এবং বড় রকমের দুর্ঘটনা যেমন স্ট্রেস কার্ডিওমায়োপ্যাথি, হার্ট অ্যাটাক অথবা স্ট্রোক। হৃদযন্ত্রের সঙ্গে রাগের যোগসূত্র রয়েছে। তাই একে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই প্রয়োজন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণা কী বলে?</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিমাত্রায় রাগের বহিঃপ্রকাশের দুই ঘণ্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, অ্যাঞ্জাইনা, স্ট্রোক অথবা হৃদযন্ত্রের ছন্দের ক্ষতিকর পর্যায় হওয়ার ঝুঁকি আছে। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, তীব্র রাগের পর্ব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হিপণ্ডের ওপর অতি দ্রুত খারাপ প্রভাব পড়ে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রক্তচাপ, স্ট্রেস হরমোন অ্যাড্রিনালিন এবং কর্টিসল বেড়ে যায়। আরো বিভিন্ন বড় বড় গবেষণায় দেখা গেছে যে তীব্র রাগের বহিঃপ্রকাশের দুই ঘণ্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা অন্য সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি এবং স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা চার গুণ বেশি। আরেকটি গবেষণা হয়েছিল ১০ হাজার মানুষের ওপর। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বছরে প্রতি মাসে একবার করে তীব্রভাবে রাগান্বিত হয়েছিল তাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হয়েছে। এর মধ্যে হৃদরোগ এবং অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টর যাদের আছে (ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্য) তাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার হার আরো বেশি। আরেকটি গবেষণা বলে, যারা কম রাগী তাদের তুলনায় বেশি রাগীদের হৃদরোগ হয় ১৯ শতাংশ বেশি।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘদিন চেপে রাখাও অনুচিত</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাগ মানুষের প্রাকৃতিক আবেগ। এর অসুস্থ বহিঃপ্রকাশও যেমন শরীর ও মনের জন্য ভালো নয়, আবার দীর্ঘদিন চেপে রাখাও ভালো নয়। অতিরিক্ত রাগের জন্য যেমন শরীর খারাপ হয় তেমন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে হতাশা, বিষণ্নতা, মাদকাসক্তি, হত্যা, আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাগকে বাড়তে দেবেন না</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপনাকে নিজের রাগের ধরনটাকে বুঝতে হবে এবং কিসে আপনি অতিরিক্ত রেগে যান সেটা বের করতে হবে। চট করে রাগ প্রকাশ না করে ওই জায়গা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে যুক্তিসংগতভাবে চিন্তা করে তারপর অনুভূতিটাকে ধীরস্থিরভাবে প্রকাশ করুন। যার ওপর রাগ হচ্ছে, তার আচরণটা কতটুকু যৌক্তিক সেটাও বিবেচনা করে নিন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিশেষে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে শিখতে হবে। রাগ নিয়ন্ত্রণের অনেক বিজ্ঞানসম্মত কৌশল আছে। সুস্থ থাকতে হলে কৌশলগুলো জানতে হবে এবং সেগুলো চর্চা করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক :</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সহকারী অধ্যাপক সাইকিয়াট্রি বিভাগ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা</span></span></span></span></p>