<p>চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রথমবারের মতো নতুন প্রজাতির পেকিন হাঁস পালন করে সাফল্য পেতে শুরু করেছেন উদ্যোক্তা নাজিম খান। এরই মধ্যে তাঁর খামার থেকে প্রতিদিন ডিম ও মাংস বিক্রি হচ্ছে। অল্পদিনেই এখান থেকে নতুন করে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করা হবে। এতে আয় হবে কয়েক লাখ টাকা। ফলে এই উদ্যোগ অনেকের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</p> <p> </p> <p><strong>বিনা মূল্যে ইপসা দেয় ৪০টি হাঁসের বাচ্চা </strong></p> <p>এলাকাবাসীর কাছ থেকে এই খামারের তথ্য পেয়ে সরেজমিনে উপজেলার মুরাদপুর রহমতনগর গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, নাজিম খানের খামারটি এখন জমজমাট। এক ঝাঁক হাঁস কখনো পুকুরে ভাসছে, আবার কখনো কূলে এসে বিশ্রাম নিচ্ছে। আবার কখনো খাবার খাচ্ছে কিংবা খামারের ভেতরে ডিম দিচ্ছে। এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি নাজিম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একসময় বিদেশে চাকরি করেছি। দেশে ফেরার পর একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি। কিন্তু করোনা মহামারিতে সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যবসা করে সচ্ছলতা ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু একাধিক ব্যবসায় লোকসান গুনে হতাশ হই। এরপর একসময় জানতে পারি পিকেএসএফের আর্থিক সহযোগিতায় এনজিও সংস্থা ইপসা ‘মাংসের জন্য ব্রয়লার টাইপ পেকিন জাতের হাঁস পালন’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমার মামি শাশুড়ি শিরিন আক্তার এই প্রকল্পের একজন সদস্য হিসেবে এই হাঁস পালনে আগ্রহী। আমিও এ রকম একটি সুযোগ খুঁজছিলাম। তাই আমিও এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে ইপসা ও পিকেএসএফের সহযোগিতা নিয়ে গত সাড়ে পাঁচ মাস আগে এই হাঁস পালন শুরু করি। এ সময় ইপসা আমাকে বিনামূল্যে ৪০টি হাঁসের বাচ্চা দেয়। এর পাশাপাশি আমিও ৬০টি হাঁস কিনে নিই। তারপর ইপসার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মেনে খামার করি। এখন পর্যন্ত একটি হাঁসও মারা যায়নি।”</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমি হাঁসগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালন করায় সাড়ে তিন মাস বয়স থেকে ডিম পাচ্ছি। নাজিম বলেন, নিজস্ব পুকুর এবং এর আশপাশে ২৪ শতক জায়গার ওপর এই খামার করি। হাঁসের বাচ্চা কিনতে গিয়ে প্রথম দিকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়।’</p> <p> </p> <p><strong>১৯ হাঁস বিক্রিতে আয় ১৫ হাজার ২০০ টাকা </strong></p> <p>প্রথম মৌসুমে এখনো পর্যন্ত ১৯টি হাঁস বিক্রি করেছি, প্রতিটি ৮০০ টাকা করে। এ ছাড়া প্রতিদিন ৪০-৫০টি ডিম পাওয়া যায়। একটি হাঁস দেড় বছরেরও বেশি সময় ডিম দেয়। তিনি বলেন, ‘এভাবে প্রতিবছর আমি কয়েকবার ডিম ফুটিয়ে কিছু বাচ্চা বড় করব।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>