তাবলিগের দুই পক্ষের জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তাবলিগের দুই পক্ষের জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সংগৃহীত ছবি

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে জমায়েতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীরা সারাদেশে চলমান তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। গতকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরো পড়ুন

মেক্সিকোতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল

মেক্সিকোতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল

 

তাবলিগ জামাতের শবগুজারি (রাত্রিযাপন) কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন

পুড়েছে তথ্যপ্রযুক্তির হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তদন্ত রিপোর্ট

পুড়েছে তথ্যপ্রযুক্তির হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তদন্ত রিপোর্ট

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদ–এর অনুসারীরা আগে থেকে জেলা ও উপজেলায় যেসব মসজিদে নিজ নিজ তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরো পড়ুন

সঞ্জয়ের হাত ধরেই তিশার নতুন শুরু

সঞ্জয়ের হাত ধরেই তিশার নতুন শুরু

 

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হন। আহত হন আরো ৪০-৫০ জন। এরপর ২৬ ডিসেম্বর তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সাদপন্থি হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় সরকার।

একইসঙ্গে অন্য পক্ষকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে বড় জমায়েত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একদিনে ভূমিকম্পে কাঁপলো ৬ দেশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একদিনে ভূমিকম্পে কাঁপলো ৬ দেশ
সংগৃহীত ছবি

মায়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে শুক্রবার (২৮ মার্চ)। উৎপত্তিস্থলে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে এদিন দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে কেঁপে উঠে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। 

ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।

আরো পড়ুন
জোনাকির পরিবার পেল ঈদ উপহার

জোনাকির পরিবার পেল ঈদ উপহার

 

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

এর একটি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার, অন্যটি ৬ দশমিক ৪ মাত্রার। মায়ানমারে থেকে এর উৎপত্তি হয়। তবে থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য অঞ্চলে অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মায়ানমার :

মায়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এবং এর গভীরতা ছিল ভূঅভ্যন্তরের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে। প্রথম বার আঘাত হানার পর আরেকটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট ফাটল দেখা গেছে এবং ভবনের টুকরো খসে পড়েছে। ইরাবতী নদীতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে ৯১ বছরের পুরোনো আভা সেতু, যা পুরোনো সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত।

মায়ানমারের ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমরা হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করার জন্য ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান শুরু করেছি এবং ঘুরে দেখছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’

থাইল্যান্ড:

মায়ানমারে উৎপন্ন ভূমিকম্প থাইল্যান্ডে আঘাত হানে। রাজধানী ব্যাংককে কম্পনে নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা সরকারি অফিস ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে কর্মরত অন্তত ৪৩ জন শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। উত্তর ও মধ্য থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রচারিত একটি ভিডিওতে ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করেন। দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করে ব্যাংককে। ভূমিকম্পের প্রভাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর ব্যাংককের ওই ভবনটি ধসে পড়ে।

বাংলাদেশ :

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, ভূমিকম্পের প্রভাবে অনুভূত হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির হয়নি।

চীন :

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, চীনের ইউনানে এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। সিনহুয়া জানিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯।

ভারত :

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমিওলজি জানিয়েছে, মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়ে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

লাওস :

চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার এক প্রতিবেদেন বলা হয়, মায়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে লাওসের কয়েকটি শহরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

লাওস জাতীয় ভূমিকম্প তথ্যকেন্দ্রের তথ্যমতে, লাওসের উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। রাজধানী ভিয়েনতিয়েনেও কেঁপে উঠে। দেশটির কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাসিন্দাদের সম্ভাব্য আফটারশকের জন্য প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করেছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বেইজিংয়ের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেইজিংয়ের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনার জন্য চীনের কাছ থেকে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শুক্রবার চীন সফরের তৃতীয় দিনে চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোওয়িংয়ের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তিনি। বেইজিংয়ের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রফেসর ইউনূস চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার  প্রশংসা করে বলেন, ‘কিছু জটিল পানি সমস্যা মোকাবেলায় চীন আশ্চর্যজনক সাফল্য পেয়েছে।

আমাদের সমস্যা আপনাদের মতোই। তাই, আপনার অভিজ্ঞতা জানালে আমরা খুশি হব।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ; আমাদের দেশে শত শত নদী রয়েছে। পানি আমাদের জীবন-জীবিকার মূল, কিন্তু কখনো কখনো এটি শত্রুতে পরিণত হয়।

এখন যেহেতু জনসংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই এটি বাস্তুতন্ত্রের জন্য কী ধরণের ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

‘চীনকে পানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কারিগর’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।’ 

তিনি পানি ব্যবস্থাপনায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভিশন বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আপনার কাছ থেকে শিখতে এসেছি: কীভাবে আমরা পানি সম্পদকে মানুষের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের চাহিদার কারণে নদীর ধারে জমি দখল বাড়ছে। উজানের দেশ ভারতেও একই ধরনের উন্নয়ন সমস্যায় পড়ছে। পলি জমে নদীর মাঝখানে চর জেগে উঠছে, যা কখনও কখনও নদীগুলোকে সংকুচিত করছে।

চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা একই রকমের চ্যালেঞ্জ।’

বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ নদী সমতল ভূমি যা দেশের জন্য পানি ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলেছে জানিয়ে তিনি বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি চীনের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা দিয়েছেন যার মাধ্যমে চীন পানি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারছে।'
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা তৈরিতে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সমস্যা কেবল একটি নদী নিয়ে নয় বরং সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনায়।’

তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোর দূষিত পানি পরিষ্কারকরণের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করে সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। 

চারদিনের সফরে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে তিনি চীনের নেতা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন।
 

মন্তব্য

২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি চীনের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি চীনের
সংগৃহীত ছবি

চীন সরকার ও দেশটির কম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার (২৮ মার্চ) এর তথ্য জানান।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পর প্রায় ৩০টি চীনা কম্পানি চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

চীন মংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং কারিগরি সহায়তা হিসেবে আরো ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

বাকি অর্থ অনুদান এবং অন্যান্য ধরণের ঋণ হিসেবে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টার চারদিনব্যাপী প্রথম দ্বিপাক্ষিক চীন সফর প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জয়েন বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সফর।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশের প্রতি চীনা বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়ার অনুরোধ করেন।

আশিক চৌধুরী জানান, প্রেসিডেন্ট শি চীনা কম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এই সফর চীনের অনেক কম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার। এ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক।

শুক্রবার ড. ইউনূস এবং আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বিশ্বের বৃহত্তম কিছু কম্পানিসহ ১০০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে উন্নত বস্ত্রশিল্প, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি

শরণখোলা (বাগেরহাট)  প্রতিনিধি
শরণখোলা (বাগেরহাট)  প্রতিনিধি
শেয়ার
সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি
সংগৃহীত ছবি

হরিণ শিকার ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পূর্ব বনবিভাগ।

প্রতিবছর ঈদের সময় সুন্দরবনে বেড়ে যায় চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম।

বিশেষ করে হরিণ শিকারিচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। ঈদে ছুটির ফাঁকে বহুগুণে বেড়ে যায় হরিণ শিকার। তবে এব ছর ঈদের আগে থেকেই হরিণ শিকারিরা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়।

অপরদিকে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ও শাপলার বিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশি উদ্বিগ্ন বন বিভাগ।

দুটি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ছয় একর বনের নানা প্রজাতির গাছপালা, লতাগুল্ম পুড়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে এ ধরনের আগুনের ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে সুন্দরবনে। বনসংলগ্ন এলাকার মৌসুমী মাছ শিকারীরা এই নাশকতায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত হরিণ শিকার ও অগ্নিসন্ত্রাস দুই কারণেই এবার বেশি সতর্ক বন বিভাগ।
 

আরো পড়ুন
সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ৪

সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ৪

 

বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সুন্দরবন ও বনসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০৮ কজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, দুটি চামড়া, ৮টি পা, বিপুল পরিমাণ হরিণ ধরা ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সাতজন শিকারিকে। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন ও বন বিভাগ এসব অভিযান পরিচালনা করে। 

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিরা বেশি সক্রিয় হয়। তাই হরিণসহ বন্যপ্রাণি শিকাররোধে শরণখোলা রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির বন কর্মকর্তা-কর্মকর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

জোরদার করেছে টহল কার্যক্রম।

আরো পড়ুন
রোজার প্রতিদান কেবল আল্লাহর কাছে

রোজার প্রতিদান কেবল আল্লাহর কাছে

 

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকার এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সীমিত করা হয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি। 

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হবে না। ঈদের বিশেষ এই সময়টাতে শিকারীদের অপতৎপরতা বন্ধ এবং অগ্নি সন্ত্রাসীদের নাশকতারোধে দুই রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ