<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণিত ভালো লাগত বলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আলাবামার অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করে সেই স্বপ্ন পূরণও করেন। এখন তার সম্পদের পরিমাণ ২২০ কোটি ডলার। তবে এই পথ অতিক্রম করাটা মোটেও সহজ ছিল না। ১২ বছর বয়স থেকে পত্রিকা বিলি করার কাজ করতেন তিনি। এই কাজ করেই কলেজে পড়াশোনার খরচ জুটিয়েছিলেন। পরিবারের মধ্যে কলেজে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন টিম কুক। কলেজেই পরিচয় ঘটে কম্পিউটারের সঙ্গে। কম্পিউটার মানুষকে যুক্ত করতে পারে, সাহায্য করতে পারে। এই ক্ষমতা তাকে বিস্মিত করেছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপনি কোন কাজ করতে আগ্রহী, সেটি খুঁজে বের করুন। কাজের শুরুতেই আপনি প্রচারের আলোতে চলে আসবেন, তা কিন্তু নয়। আপনার কাজ শুধু রেললাইনের মতো সোজা পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া। সোজা পথে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে জীবন আপনাকে অনেক কিছুই দেবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="পত্রিকা বেচে পড়ার খরচ জোগাতেন কুক" height="374" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/22-12-2024/kk--8a--22-12-2024-4.jpg" style="float:left" width="300" />উদ্যোক্তাদের তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেছনে ফিরে তাকানোর অর্থ নিজের অর্জন নিয়ে অভিভূত হওয়া। এর বদলে সব সময় সামনে তাকাতে হবে। নতুন লক্ষ্যের পথে ছুটতে হবে। আপনার চারপাশে দক্ষ একদল মানুষ থাকলে কাজটি আরো সহজ হবে। এ ছাড়া পারফেকশন বলে কিছু নেই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বিষয়টিও প্রতিনিয়ত আরো ভালো করার অনুপ্রেরণা দেয়। বাজারে পণ্য বা সেবা উন্মুক্ত করার পর সব সময় ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া জানা উচিত। তাদের দেওয়া মতামতকে কাজে লাগিয়ে পণ্য বা সেবার মান আরো ভালো করা সম্ভব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টিভ জবসের কারণে অ্যাপলে </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অ্যাপলকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেন স্টিভ জবস। কিন্তু একে ৩.৮৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কম্পানিতে পরিণত করার কৃতিত্ব টিম কুকের। অ্যাপলে ক্যারিয়ার শুরুর বিষয়ে তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল অ্যাপল। সে সময় ডেল কম্পিউটার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ডেল অ্যাপলের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। অ্যাপলের প্রতি তার পরামর্শ ছিল কম্পানি বন্ধ করে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া। একই কথা প্রযুক্তি খাতের অনেকেরই মনে হয়েছিল, কিন্তু কেউ এত খোলাখুলিভাবে বলেনি। মাইকেল ডেলের এই রায় শোনার পরও অ্যাপলে চাকরি নিয়েছিলেন টিম কুক। শুধু স্টিভ জবসের জন্য। তিনি যে অন্যদের চেয়ে আলাদা, সেটি বুঝেছিলেন। পণ্যের মানোন্নয়নে তিনি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। সেটি দেখেই স্রোতের বিপরীতে চলা জবসের প্রতি আস্থা জন্মেছিল। স্টিভ জবসও সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছিলেন। শুরু থেকেই অ্যাপলের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষমতা বাড়ানো। একে গণতন্ত্রীকরণও বলা যায়। প্রতিটি ক্লাসরুমে কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছিল অ্যাপল। ২০২৪ সালে এসে ব্যাপারটিকে বিশাল কিছু মনে হচ্ছে না, কিন্তু সে সময় এটি আসলে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ছিল। এরপর একে একে কম্পিউটার ও স্মার্টফোন হয়ে উঠল ব্যক্তিগত ডিভাইস। পকেটে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে এখন ছবি তোলা যায়। ভিডিও করে সেটি এডিট করা যায়। আগে এসব কাজের জন্য হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হতো। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইফোনকে বদলে দিচ্ছে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সন্দেহাতীতভাবে ভবিষ্যতে আমাদের চেনা আইফোন আরো পাল্টে যাবে। দেখতে কেমন হবে বা কোন কোন সুবিধা এতে আরো যুক্ত হবে, তা এখনই খোলাসা করতে চান না টিম কুক। তবে এটুকু জানিয়েছেন, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছর পর আইফোন হবে কার্বন নিরপেক্ষ পণ্য। আপাতত অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর জীবন আরো সহজ করতে চায় অ্যাপল। টিম কুক বলেন, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সব কিছুই বদলে দেবে। নিজের ব্যবহৃত আইফোনই হয়ে উঠবে ব্যক্তিগত সহকারী (ভার্চুয়াল), যা কর্মক্ষেত্রের জন্য ই-মেইল লিখতে সহায়তা করার পাশাপাশি বহু বছর আগে আইফোনে তোলা ছবি খুঁজে দিতেও সাহায্য করবে। টিম কুক বলেন, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের কারণে ব্যক্তিগত সহকারী পাশে রাখার অনুভূতি পাবেন ব্যবহারকারীরা। সূত্র : ফোর্বস</span></span></p>