<p>গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালককে সভাপতি করে ১৫ সদস্য নিয়ে টেলিভিশনটির ‘প্যাকেজ প্রিভিউ কমিটি’ পুনর্গঠিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (টিভি) মুহাম্মদ শরিফুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এমনটা জানানো হয়।</p> <p>কমিটির প্রথম সদস্য হিসেবে আছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। সদস্যসচিব হিসেবে তালিকায় সবার শেষে আছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা পরিচালক। এ ছাড়া সংস্কৃতি অঙ্গনের ১২ জনকে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেখানে নাম রয়েছে এই সময়ের অভিনেতা আরশ খানেরও। যা ভালোভাবে নেননি অনেকে। আরশের নাম থাকায় সমালোচনায় মেতে ওঠেন অনেকে। এবার আরশ নিজেই সেই কমিটি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটা জানিয়েছেন আরশ নিজেই। </p> <p>রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরশ খান লেখেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার পদত্যাগ করাটাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব বলে মনে করছি। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিকট। বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং মহাপরিচালক মহাদয়ের নিকট এবং উক্ত বিষয়ে জড়িত সকল ব্যক্তিবর্গের নিকট। আমি আপ্লুত। এ সম্মান বয়ে বেড়াব সারা জীবন।’</p> <p>এরপর এই অভিনেতা লেখেন, ‘কিন্তু আমার শিল্পী পরিচয়ের পর আরো একট বড় পরিচয় আমজনতা। আমার শক্তি ও সাহসের উৎস এটাই। আমাকে দেওয়া সম্মান বা সদস্য পদের জন্য আমি এখনো যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি। শিখছি, আরো শিখতে চাই। আমি খুব খুশি এবং উপকৃত হবো আমার সদস্য পদ বাতিল করে আমার অগ্রজ কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে তা প্রদান করা হলে।’</p> <p>তিনি আরো লেখেন, ‘আমি আরশ মহান সৃষ্টিকর্তাকে সাক্ষী মেনে কথা দিচ্ছি আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সব সময় নিয়োজিত থাকব একজন শিল্পী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে এবং দেশের আমজনতা হিসেবে যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পক্ষে থাকব।’</p> <p>তবে কালের কণ্ঠকে তিনি জানান, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। খুব দ্রুত সেটি জমা দেবেন।</p>