<p style="text-align:justify">গাজীপুর মহানগরীর জাঝর এলাকায় শিল্প-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বর্জ্য গিয়ে পড়ছে স্থানীয় খালে। গন্ধও ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ওই এলাকার পরিবেশ হুমকিতে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয়দের অভিযোগ, দূষণের প্রভাবে নারী-শিশুসহ কয়েক শ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিকার চেয়ে আজ রবিবার প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।</p> <p style="text-align:justify">তারা বলছেন, গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে নগরীর ১৫, ১৭, ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডসহ কয়েকটি ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে মোগড়খাল প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে টঙ্গী খালে গিয়ে মিশেছে। খালের আশপাশে রয়েছে বেশ কিছু কারখানা। এসব কলকারখানা রাসায়নিক বর্জ্যে খালের পানি কালো ও বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। দূষিত পানির ঝাঁঝালো গন্ধে খালপাড়ে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।</p> <p style="text-align:justify">তারা অভিযোগ করে বলেন, খালপারের কোনো জমিতে ফসল হয় না। পানি শরীরে লাগলে ঘাঁ হয়। গাছপালা মরে যাচ্ছে। ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। কেউ কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বাবুল বলেন, বারবার এ খালের দূষণের বিষয়টি গাজীপুরের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।</p> <p style="text-align:justify">হাজী মুজিবুর রহমান নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এলাকায় মারাত্মক পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জমিতে ফসল হচ্ছে না। বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। সুস্থভাবে বাঁচতে চাই।’</p> <p style="text-align:justify">হাজী মো. নওয়াব আলী ও আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘খালটি সূচনা স্থান থেকেই দূষণের শিকার হয়ে আসছে। কারখানার মালিকরা ইটিপি ব্যবহার করছেন না। যে কারণে খালের পানি নষ্ট হয়ে গেছে। দিনরাত ক্যামিকেলযুক্ত গরম পানি খালে পড়ছে। ধোঁয়ার সাহায্যে এবং পানির মাধ্যমে মানুষের শরীরে দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় আব্দুর রহিম, মো. সেলিম মিয়া ও আবু হানিফ বলেন, ‘পরিবেশ উপদেষ্টা দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। আমরা চাই, তিনি দূষণ বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে এলাকবাসীকে রক্ষা করবেন।’</p>