<p>গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত কেয়া কসমেটিকস গ্রুপের চার কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কাজে গিয়ে কারখানাগুলোর প্রধান ফটকে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান শ্রমিকরা। কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।</p> <p>কারখানা চারটি হলো কেয়া নিট কম্পোজিট, কেয়া স্পিনিং, কেয়া কটন ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড। </p> <p>শ্রমিকরা জানান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৬ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন করছেন তারা। ওই দিন তারা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে রবিবারও বিক্ষোভ করেন তারা। সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে মেইন গেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান তারা। </p> <p>শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সকাল ৯টার দিকে কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কারখানার সামনে অবস্থানের পর তারা বাইমাইল এলাকায় ঢাকা-টঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান করছিলেন। </p> <p>কারখানা বন্ধের নোটিশে কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবি নিয়ে অন্য শ্রমিকদের সংগঠিত করে উৎপাদন বন্ধ রাখেন। নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রত্যেক লাইনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং করেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে উৎপাদন ফ্লোর থেকে বের হয়ে যান। তারা কারখানার অন্যান্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। রবিবার শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে মাইকিং করে সোমবার সকাল ৯টায় তিন শিফটের সব শ্রমিকদের কারখানার মেইন গেইটে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায়। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানা এবং শ্রমিকদের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে ৩০ ডিসেম্বর হতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।</p> <p>পরবর্তীতে কারখানায় কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি সাপেক্ষে কারখানা খোলার তারিখ লিখিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শ্রমিকদের সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। </p> <p>কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, কেয়ার ওই চার কারখানায় ৫ হাজারের মতো শ্রমিক ছিলেন। শ্রমিকদের বুঝিয়ে অবরোধ মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।</p>