<p>বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচে আগামীকাল খেলতে নামবে ভারত। সেই টেস্টে খেলার সম্ভাবনা আছে বক্সিং ডে টেস্টে সাইডলাইনে থাকা শুবমান গিলের। তবে তার আগেই ক্রিকেট মাঠের বাইরের বিতর্কে জড়িয়ে নতুন করে বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটার। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় সিআইডি তলব করেছে গিলকে।</p> <p>আহমেদাবাদ মিররে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাটের একটি চিটফান্ড কম্পানি বি জেড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসে প্রায় ১.৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন শুবমান গিল। এই কম্পানিটি প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার পন্জি স্কিম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তবে শুধু শুবমান গিলই নন, আরো তিন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারও যুক্ত এতে। তারা হলেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও মোহিত শর্মা। প্রত্যেকেই গুজরাট টাইটান্সে খেলেছেন শুবমান গিলের অধিনায়কত্বে।</p> <p>রিপোর্ট অনুযায়ী, গিল গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ছিলেন ২০২৪ সালের আইপিএলে। তিনি এই স্কিমে ১.৯৫ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছিলেন। অন্যদিকে মোহিত, তেওতিয়া এবং সুদর্শন ছোট পরিমাণে বিনিয়োগ করেছিলেন।</p> <p>আহমেদাবাদ মিররের জানিয়েছে,  এই কম্পানিটি ৬০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত, তবে এখন তদন্তের পর সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটিতে। ব্যাংকের থেকেও বেশি হারে সুদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।</p> <p>আহমেদাবাদ মিরর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে পন্জি স্কিমের মূল হোতা ভূপেন্দ্রসিং জালার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে। জালার ভাষ্যমতে, তিনি গিলসহ অন্য ক্রিকেটারদের বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরিয়ে দেননি।</p> <p>গুজরাট সিআইডির এক কমকর্তা বলেন, ‘জালার একটা অবৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল যা এখন সিআইডির ক্রাইম বিভাগ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খাতায় কলমে ৫২ কোটি টাকা লেনদেনের হিসাব দেখানো থাকলেও সেই অর্থের পরিমাণ আসলে ৪৫০ কোটি। আরো বাড়তে পারে এই পরিমাণ।’</p> <p>জালাকে ২৭ ডিসেম্বর মেহসানা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হয়েছে। সিআইডি জানায়, জালার সংস্থা বিনিয়োগকারীদের ৩৬% বার্ষিক মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তবে পরে তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়নি।</p>