<p>দলের প্রয়োজনে কোনো রানই করতে পারেননি লিটন দাস। উল্টো প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কে জীবন দিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। অন্যথা, ব্যক্তিগত ৫ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হতো বিজয়কে। সেই বিজয় পরে আর আউটই হলেন না। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৭ উইকেটের জয়ে হাসি-মুখে মাঠ ছাড়েন তিনি।</p> <p>ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সতীর্থ মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে উইকেট তো এনে দিতে পারেননি লিটন, উল্টো তার হাত থেকে ক্যাচ ফসকে চার হয়েছে। সেই জীবন পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকাননি বিজয়। ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ৭১ রানের ইনিংস। ১১ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে কম অবদান নয় রায়ান বার্লেরও। চতুর্থ ‍উইকেটে দলের অধিনায়কের সঙ্গে অনবদ্য ১০৬ রানের দুর্দান্ত ছুটি গড়ার পথে খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস।</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="33" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/dh.jpg" width="1000" /> <figcaption>বিজয়কে জীবন দিয়ে ম্যাচে হার দেখেছেন ঢাকার উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ছবি : কালের কণ্ঠ, মিরপুর থেকে</figcaption> </figure> </div> <p>শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না রাজশাহীর। ৩১ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা। পরে তৃতীয় উইকেটে ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে ৪৪ রানে জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলান বিজয়। ব্যক্তিগত ২২ রানে দলের প্রথম ম্যাচে ফিফটি পাওয়া ইয়াসির আউট হলেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন রাজশাহীর অধিনায়ক। দলকে প্রথম জয় এনে দেওয়ার পথে ৭৩ রানে অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ চার ও ৩ ছক্কায়। অন্যদিকে বার্ল ৫ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস।</p> <p>এর আগে তাসকিন আহমেদ গড়েন বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বের তৃতীয় বোলার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশি পেসার। ১৯ রানে ৭ ‍উইকেট নেন তিনি। তার ওপরে আছেন— নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারম্যান ও মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদরুস।</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="33" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/কুর্নিশ.jpg" width="1000" /> <figcaption>তাসকিনকে কুর্নিশ করছেন বিজয়। ছবি : মীর ফরিদ, মিরপুর থেকে</figcaption> </figure> </div> <p>২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি ব্ল্যাস্টে বার্মিংহাম বিয়ার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট নেন লেস্টারশায়ারের হয়ে খেলা অফ স্পিনার অ্যাকারম্যান। পরে তার সেই রেকর্ড ২০২৩ সালে ভাঙ্গেন ইদরুস। চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নেন মালয়েশিয়ার পেসার।</p> <p>বিশ্বরেকর্ড হওয়ায় তাসকিনের রেকর্ড যে বিপিএল এবং বাংলাদেশের সেরা সেটা আর না বললেও চলে। এতদিন বিপিএলের সেরা ছিলেন মোহাম্মদ আমির। ২০১৯-২০ বিপিএলে রাজশাহীর বিপক্ষে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন খুলনার হয়ে খেলা পাকিস্তানি পেসার। আর সবমিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সেরা ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৩ সালে সিপিএলে বার্বাডোজের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব।</p> <p>তাসকিনের রেকর্ডের দিনেও দলীয় খাতায় রান কম তুলেনি ঢাকা ক্যাপিটালস। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট ১৭৪ রান করে তারা। ঢাকা এই সংগ্রহটা পায় শাহাদাত হোসেন দীপুর ৫০ ও স্টিফেন এসকিনাজির ৪৬ রানের কল্যাণে। তবুও দলের টানা দ্বিতীয় হার এড়ানো যায়নি। <br />  </p>