<p>যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার লিজ চেনিকে নাগরিক সেবা পদক প্রদান করবেন। তিনি সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসউওম্যান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত।</p> <p>বাইডেনের এই পদক্ষেপ এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর চেনি আইনি সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উয়াওমিং অঙ্গরাজ্যের সাবেক হাউস প্রতিনিধি লিজ চেনি ও আরো ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করা হবে। ‘দেশ ও জনগণের জন্য উদাহরণযোগ্য সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ’ পদকটি দেওয়া হবে।  </p> <p>যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দ্বিতীয় এই সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার এ বছর আরো যারা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে আছেন সাবেক সিনেটর ক্রিস ডড, সাবেক হাউস প্রতিনিধি ক্যারোলিন ম্যাককার্থি ও বর্তমান আইন প্রণেতা বেনি থম্পসন।</p> <p>থম্পসন সেই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, যা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল দাঙ্গায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করেছিল। অন্যদিকে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনি ওই কমিটির ভাইস চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  </p> <p>হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে চেনি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘(তিনি) আমাদের জাতির মুক্তি, মর্যাদা ও শালীনতার আদর্শ রক্ষায় কণ্ঠ তুলেছেন এবং উভয় রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য কাজ করেছেন।’  </p> <p>বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘তার সততা ও সাহস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, আমরা একসঙ্গে কাজ করলে কী কী সম্ভব।’  </p> <p>৫৮ বছর বয়সী লিজ চেনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী কণ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তবে ২০২২ সালে তিনি কংগ্রেস সদস্যর আসন হারান একজন ট্রাম্পপন্থী প্রার্থীর কাছে। এ ছাড়া গত নভেম্বরে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হওয়া ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও প্রচারণা চালিয়েছেন চেনি।</p> <p>এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি আবারও হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন এবং তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘লিজ চেনি অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন, বিশেষ করে সাবকমিটির সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে। যেখানে গেছে, লিজ চেনির মাধ্যমে একাধিক ফেডারেল আইন লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এ বিষয়গুলো এফবিআইয়ের তদন্ত করা উচিত।’  </p> <p>ডিসেম্বরে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি কংগ্রেস কমিটি চেনির বিরুদ্ধে সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিল। তবে চেনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>