<p>‘আওয়ামী সিন্ডিকেটের’ কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে মুখ ফিরিয়ে নেন দেশের ব্যবসায়ীরা।</p> <p>ছয় মাস আমদানি বন্ধ থাকার পর গত সোমবার এ বন্দর দিয়ে পণ্য আনা হয় দেশে। ওই দিন সন্ধ্যায় ভারতীয় একটি ট্রাকে করে পাঁচ টন জিরা দেশে আসে। এর মধ্য দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো কোনো পণ্য আমদানি হয়।</p> <p>তবে গত বছরের ডিসেম্বরে যে পরিমাণ মাছ ভারতে গেছে তা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড। ডিসেম্বরে এক হাজার ৭৮৬ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়, যার মূল্য ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ আট হাজার ৮০০ টাকা। নভেম্বরে রপ্তানি হয় এক হাজার ৭৩ টন মাছ, যার মূল্য ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার ৬০০ টাকা।</p> <p>এদিকে বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার কমে এসেছে। দুই দেশ থেকেই ভিসা দেওয়া বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ডিসেম্বরে যাত্রী পারাপারে মোট রাজস্ব আদায় হয় ৩১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। নভেম্বরে এই স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার করে ১৩ হাজার সাতজন, যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৭৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা।</p> <p>আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র সাত কোটি পাঁচ হাজার টাকার পণ্য আমদানি হয়। অথচ এর আগের অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল প্রায় ৬৫ কোটি টাকার পণ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৪২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বেশি।</p> <p>সূত্রটি থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ১৪৮ কোটি ৫৫ লাখ ১১ হাজার ৩৭ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। চলতি বছর একই সময়ে সেটা প্রায় ১৩ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬১ কোটি ৮৪ হাজার ১৫২ টাকা।</p> <p>ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন ও সাবেক পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মো. তাকজিল খলিফা কাজল বন্দরকে ঘিরে ব্যাবসায়িক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ওই প্রভাবশালী নেতার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবহার, তাঁর অধীনে থাকা ট্রাক বহন করে পণ্য নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকায় লোকসান হতো বলে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নেন। এ অবস্থায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি শূন্যের কোটায় নেমে আসে। </p> <p>ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুর দুই যুগেরও বেশি সময়ের মধ্যে ৯ ডিসেম্বর প্রায় রেকর্ড পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকার বেশি মাছ যায় এ বন্দর দিয়ে। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা নাগাদ ২৯টি ছোট-বড় ট্রাকে করে হিমায়িত মাছ ভারতে যায়। মাছের মোট পরিমাণ এক লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪ কেজি। অর্থাৎ ১৭২ টনেরও বেশি মাছ রপ্তানি হয়।</p> <p> </p> <p> </p>