<p style="text-align:justify">কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন (৬০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ৩ জন।</p> <p style="text-align:justify">রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাউতি ইউনিয়নের বানাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">নিহত আবুল হাসান রতন বানাইল গ্রামের মৃত নূরুল হুদার ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">আহতরা হলেন, খালিদ হাসান (২২), মো. রাসেল (২৭) ও হৃদয় (১৯)। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আগামী ১৫ জানুয়ারি তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন। ওই সম্মেলন ঘিরে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা রতনের ওপর হামলা হয় বলে দলীয় একটি সূত্র দাবি করেছে।</p> <p style="text-align:justify">তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহানুর শুভ জানিয়েছেন, আজ সকালে সাড়ে ১০টার দিকে আবুল হাসান রতনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ, পারিবারিক ও দলীয় সূত্র বলছে, আসন্ন সম্মেলন ঘিরে সভাপতি পদে দুজন প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছাইদুজ্জামান মোস্তফা ও সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন লিটন সভাপতি প্রার্থী। নিহত আবুল হাসান রতন আহ্বায়ক ছাইদুজ্জামান মোস্তফার সমর্থক।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, শনিবার রাতে সম্মেলনকে সামনে রেখে বানাইল বাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন লিটন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বানাইল গ্রামের বিএনপিকর্মী মো. গিয়াসউদ্দিন। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন ক্ষুব্ধ হন। আজ রবিবার সকালে তিনি গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে গিয়াসউদ্দিনের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রতনদের ওপর হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রতন। এ সময় গুরুতর আহত হন রতনের সমর্থক আরো ৩ জন।</p> <p style="text-align:justify">ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছাইদুজ্জামান মোস্তফা বলেন, নিহত আবুল হাসান রতন আমার সমর্থক ছিলেন। তাকে প্রতিপক্ষ সারোয়ার হোসেন লিটনের লোকজন নির্মমভাবে হত্যা করে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন লিটনকে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।</p> <p style="text-align:justify">তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বলেন, বিএনপির সম্মেলন ঘিরে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কাউকে আটক করা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p>