<p>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।</p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো সময় পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারে।'</p> <p>২ জানুয়ারি পোষ্য কোটাবিরোধী আন্দোলনের দিনে বহিরাগতদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন 'আইন-শৃঙ্খলার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ সমুন্নত' রাখার লক্ষ্যে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ ও অবস্থান নিষিদ্ধ করে। পূর্বের দেওয়া এ নিষেধাজ্ঞাও বহাল রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। </p> <p>শনিবার দিবাগত রাতে রাবির সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল এবং মতিহার হলসহ পাঁচটি হলে কোরআনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকালে প্রথমে জিয়া হলে পরে মতিহার ও আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে পোড়া অবস্থায় কোরআন পাওয়া গেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। </p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে উপাচার্য একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। </p> <p>কোরআনের আগুন দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খানকে সভাপতি করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন ও সাত কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে একটি প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।</p>