<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হলে গেস্টরুমের নামে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। একসময় নিষিদ্ধ হওয়া এ সংস্কৃতি আবার চালু হওয়ায় নবীন শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত।</p> <p style="text-align:justify">রবিবার (১২ জানুয়ারি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বাকৃবি সাংবাদিক সমিতিতে অভিযোগ জানান। তারা জানান, শনিবার রাতে রিডিং রুমে তাদের ডেকে মোবাইল ফোন জমা দিতে বাধ্য করা হয়। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা উদ্ভট কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেয়।</p> <p style="text-align:justify">নিয়মগুলোর মধ্যে ছিল সাইকেল চালানো যাবে না, সিনিয়রদের দিনে যতবার দেখা হবে ততবার সালাম দিতে হবে, হলে লুঙ্গি পরা যাবে না এবং ক্যান্টিনে যাওয়া যাবে না।</p> <p style="text-align:justify">এক শিক্ষার্থী জানান, সামান্য অঙ্গভঙ্গির ভুল দেখিয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং অদ্ভুত শাস্তি দেওয়া হয়। শাস্তির মধ্যে ছিল গাছে ঝুলে থাকার অভিনয়, বিভিন্ন ধরনের হাসি ও সালাম দেওয়া এবং নাচ করা। এসবের এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা জানান, কমনরুমে দরজা-জানালা বন্ধ রেখে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। শ্বাসকষ্টে ভোগা এক শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলেও একই ধরনের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p style="text-align:justify">আশরাফুল হক হলের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের শুধু সিনিয়রদের সামনে পরিচয় দেওয়ার নিয়ম শেখানো হয়েছে। তবে তাদের কোনো গালিগালাজ বা শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি।</p> <p style="text-align:justify">সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘নবীনদের ওপর কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ না করার জন্য আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এত বড় ঘটনা ঘটার পরও কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। আজই আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসব এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।’</p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘কোনো ধরনের গেস্টরুম বা নির্যাতন ক্যাম্পাসে চলবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রক্টরিয়াল টিম ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’</p> <p style="text-align:justify">নবীন শিক্ষার্থীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।</p>