<p>অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক দোকানদার। এ ঘটনায় ওই দোকানদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েও কাজ না হওয়ায় তার দোকানে হামলা করে ভুক্তভোগী নারীর স্বজনরা। এবার ওই দোকানদার উল্টো তার দোকান ভাঙচুর ও টাকা লুটের অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেন। </p> <p>রবিবার (১২ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের ভাদাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>স্থানীয় সূত্র ও দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের মো. আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম (৩০) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের ভাদাটি বাজারে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। পাশের গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ওই দোকানে প্রায় সময় ফ্লেক্সি করতে আসেন। </p> <p>প্রবাসীর স্ত্রী জানান, একদিন তিনি দোকানদার কাইয়ুমের কাছে নিজের মোবাইল রেখে অন্য কাজে গিয়ে কিছুক্ষণ পর নিয়ে যান। দুই দিন পর তার দোকানে গেলে কাইয়ুম তাকে নানা ধরনের কথা বলেন। এসব কথার মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন, তার মোবাইল থেকে ছবি ছাড়াও বেশ কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েছেন কাইয়ুম। এর মধ্যে কাইয়ুম বিভিন্নভাবে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে তিনি বিষয়টি শ্বশুড়বাড়ির লোকজনকে জানান। পরে এক সালিসে কাইয়ুম নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু কয়েক দিন পর প্রবাসীর স্ত্রীর ছবি এডিট করে তার ইমো নম্বরে পাঠিয়ে ফের অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এ ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ধরনের সাড়া পাওয়া যায়নি।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাটি নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর বাবা-চাচারা গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত কাইয়ুমের দোকানে এসে তার ওপর হামলা চালায় এবং তার দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় কাইয়ুমের চাচা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তার ওপরও হামলা করা হয়। পরে সেখান থেকে তার চাচা মকবুল হোসেন (৫০) ও কাইয়ুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।</p> <p>এ বিষয়ে কাইয়ুম বলেন, ওই নারী অহেতুক আমার ওপর মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর (নারী) আপত্তিকর ছবি তিনি কোথাও পোস্ট করেননি। মিথ্যা অপপ্রচার করেই তার দোকানে হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে এবং ১০ লাখ টাকা লুট করেছে ওই নারীর স্বজনরা।</p> <p>জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি উবায়দুর রহমান জানান, তিনি উভয় অভিযোগই তদন্ত করতে দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>