<p>উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে মাঠে মাঠে এখনো পাকা ধান । তবে মাঠে ধান থাকলেও শ্রমিক সংকটে সময়মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। আর এক সপ্তাহের মধ্যে আমন ধান ঘরে তুলতে না পারলে বিনষ্ট হয়ে যাবে এমনটাই জানিয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।</p> <p>উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড়ে ৬ থেকে ৮ মেট্রিক টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতিমণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো। এদিকে বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯২০-৯৫০ টাকা। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।</p> <p>সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কম-বেশি আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ ধান কাটা সম্পন্ন করেছে কৃষকরা। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।</p> <p>উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক বাবুল বিশ্বাস (৪৮) বলেন, আমন মৌসুমে পোকামাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই, বরং ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে।</p> <p>উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ভালোভাবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েকদিন পরে সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাবে। তাই যেহেতু ঝড় বৃষ্টি নেই, কৃষকরা ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে।</p> <p>উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধান ভালো হয়েছে।</p>