<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি পূরণের আশ্বাসে টানা ১৪ ঘণ্টার অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।</p> <p>রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় শিক্ষার্থীদের খেজুর খাইয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান। তবে কিছু শিক্ষার্থীরা এখনো অনশন ভাঙেননি।  তারা এখনো অনশন করে যাচ্ছেন।</p> <p>অনশন ভাঙা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইংরেজি বিভাগের সিফাত হাসান সাকিব বলেন, আমরা সঠিক রোডম্যাপ পেয়েছি। আমরা যেহেতু জবি সংস্কার আন্দোলনে কাজ করেছি, তাই আমরা জানি কাজের ক্ষেত্রে বাঁধা কোথায় আছে। প্রশাসন যেহেতু এবার বলেছে, তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে, তাই আমরা তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে অনশন ভেঙেছি।</p> <p>গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের যারা সকাল থেকে অনশনে ছিল, তারা সবাই অসুস্থ হয়ে যেতে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন দাবি মেনে নিয়ে ঘোষণা দিতে আসা হয়, তখন বেশিরভাগ হাসপাতালে ছিল। তখন আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। পরে আমি মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়ে রাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে যাই। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের দাবির কিছু অস্পষ্ট শব্দ ও অংশ সংশোধন করতে বলেছি। তারা তা সংশোধন করতে রাজি হয়। যেহেতু আতিকুল, সুকুল, রাকিব এরা অনশন ভেঙেছে, আমিও অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেই। পরে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেই।</p> <p>এর আগে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৪টি দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। <br /> দাবিগুলো হলো : <br /> ১. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে সেনাবাহিনীর নিকট প্রকল্প হস্তান্তর করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগযোগের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।</p> <p>২. আগামী ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে শহীদ হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনে অস্থায়ী আবাসনের প্ল্যান ইউজিসিতে পাঠানো হবে।</p> <p>৩. ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আবাসনের অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসিক ভাতার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানানো হবে।</p> <p>৪. প্রকল্পের সকল বিষয় সম্পর্কিত পদক্ষেপের বিষয়ে ছাত্রদের প্রতিনিধি নিয়ে ‘ছাত্র বিষয়ক কমিটির’ সমন্বয়ে গঠিত কমিটি অংশগ্রহণ করবে।</p> <p>অনশনরত শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ছিলাম। আমরা শিক্ষার্থীদের চারটি দাবি মেনে নিয়েছি।</p>