<p>মার্কেট দখল, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় নতুন করে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে উদ্বেগ-আতঙ্ক বাড়ছে। সর্বশেষ রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় প্রকাশ্যে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা। এ ছাড়া মিরপুর এলাকায় এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে বোমা ফাটিয়ে ওই এলাকায় সৃষ্টি করা হয়েছে আতঙ্ক। পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। </p> <p>তদন্তসংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গত শুক্রবার রাতে এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান এবং মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেসামুল হক দীপু গুরুতর আহত হন। </p> <p>সূত্র মতে, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর অন্তত ছয় শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পান। এর মধ্যে হাজারীবাগ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল এবং মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত তত্পর হয়ে ওঠায় তাঁদের সন্ত্রাসী বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মূলত এই তিন বাহিনী ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ ও মিরপুর এলাকায় বিভিন্ন মার্কেট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পোশাক কারখানায় হানা দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না দিলে কুপিয়ে ব্যবসায়ীদের জখম করা হচ্ছে, টেলিফোনে হত্যার হুমকি এবং এলাকায় বোমা ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করছে।<br /> অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা না নিলে দেশে হত্যা, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ অন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আরো বাড়বে। </p> <p>আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে, জামিনে থাকা এই তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে কিশোর ও তরুণ সন্ত্রাসীদের নতুন করে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। </p> <p><strong>দুই ব্যবসায়ীকে হামলায় যা জানা যাচ্ছে </strong><br /> হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আহত ওয়াহিদুল হাসান দীপু জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার পর তিনি ও এহতেসামুল মার্কেটে দোকান বন্ধ করে বাসার উদ্দেশে বের হন। এ সময় নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠার জন্য বেজমেন্টে নামেন ওয়াহিদুল। বেজমেন্ট থেকে গাড়ি নিয়ে র্যাম্পে উঠতেই দেখেন মার্কেটের সামনে এহতেসামুলকে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। এরই মধ্যে তাঁর গাড়িতেও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গাড়ির জানালার গ্লাস ভেঙে তাঁর পায়ে আঘাত করা হয়। তখন তাঁর গাড়িচালক গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যান। তিনিও দৌড়ে বেজমেন্টে নেমে সিঁড়ি দিয়ে মার্কেটে ঢুকে পড়েন।’</p> <p>তিনি আরো জানান, এহতেসামুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়ক থেকে উদ্ধার করে পাশের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের দুই নিরাপত্তাকর্মী। তাঁর হাঁটুর হাড় ও হাতের হাড় কেটে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়ে আছে। পায়ের শিরা কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। </p> <p><strong>ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যা দেখা গেছে  </strong><br /> এহতেসামুলকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর একটি ভিডিও গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। </p> <p>হামলার ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ জানতে পারে, অন্তত পাঁচজন মিলে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে এহতেসামুলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে। আরো অন্তত সাতজন পাশে দাঁড়িয়েছিল। চাপাতির আঘাতে এহতেসামুল রাস্তায় পড়ে যান। এর পরও তাঁকে কোপানো হয়। তিনি ওঠার চেষ্টা করে এক পর্যায়ে সড়কে শুয়ে পড়েন। এর পরও তাঁকে আঘাত করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। আবারও তিনি ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।</p> <p>ফুটেজে হামলার সময় সড়কে পথচারী ও গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। হামলাকারীদের সবাই ছিল মুখোশ পরা। হামলাকারীদের ঠেকাতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। দেড় থেকে দুই মিনিট পর হামলাকারীরা সটকে পড়ে।</p> <p><strong>মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার নিয়ে দ্বন্দ্ব </strong><br /> এদিকে হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবিতে গত শনিবার দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।</p> <p>ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু চাঁদাবাজি নয়, হামলার নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। তাঁরা বলেন, এই মার্কেট নিয়ে ১৫ বছর ধরে বিরোধ চলছে। এর আগে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার ব্যবসায়ী মালিক সমিতি দখল করে রেখেছিল। তখন তৌফিক ছিলেন সভাপতি। তাঁরা মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ব্যবসায়ীরা কমিটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তখন তৌফিকসহ তাঁর লোকজন পালিয়ে যায়। এর পর গত ১৩ আগস্ট নতুন করে ১৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামকে। দীপু জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও এহতেসামুল যুগ্ম আহ্বায়ক হন।</p> <p>ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম  বলেন, ‘যারা মার্কেট সমিতি দখল করে রেখেছিল ১৫ বছর ধরে, তারা সমিতির কোটি কোটি টাকা লুট করেছে। লুটের প্রমাণ মুছে ফেলতে তারা পালানোর সময় সমিতির সব কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর মার্কেটের সামনে কেউ কেউ ফুটপাত দখলের চেষ্টা করে। এতে বর্তমান কমিটির নেতারা বাধা দেন। মার্কেটে খাবার পানি ও ইন্টারনেট সরবরাহ এবং পার্কিং দখল নিয়েও ওয়াহিদুল ও এহতেসামুলকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এসব কারণে তাঁদের ওপর হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’</p> <p><strong>তদন্তে যা পাচ্ছে পুলিশ </strong><br /> গত শুক্রবার রাতের হামলার ঘটনায় ওয়াহিদুল হাসান দীপু বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলা করেন। মামলার তদারক কর্মকর্তা নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক (ওসি) তদন্ত বলেন, মামলার বাদী হামলার জন্য শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নামসহ এজাহার নামীয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করেছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ  চলছে। </p> <p>এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে দুই ব্যবসায়ীকে  কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জামিনে থাকা এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগীদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। হামলায় জড়িত এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সদ্য জামিনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলালের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। </p> <p>জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার তারিক লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলার পেছনে শুধু চাঁদাবাজি না অন্য কোনো কারণ, তার তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির কয়েকটি ফুটেজ পেয়ে যাচাই চলছে। এতে দেখা গেছে, হামলায় অন্তত ১২ জন অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হামলায় জড়িত বাকিদেরও শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।</p> <p><strong>মিরপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতের ক্যাডার বাহিনী বেপরোয়া </strong><br /> রাজধানীর মিরপুরের ৭ নম্বর সেকশনের রিও ফ্যাশন গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা দখল নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত ও স্থানীয় মুক্তার বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মিরাজ গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় স্থানীয় রিও ফ্যাশন ও রিও ডিজাইন লিমিটেড-এর জুট নামানোকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কোনো এক পক্ষ  সকাল ৯টার সময় রিও ফ্যাশন গার্মেন্টসের মূল গেটে বোমা হামলা করে। ওই ঘটনার ২ মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে লোকজনকে প্রাণ ভয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। পরে রূপনগর থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। </p> <p>পুলিশ বলছে, মিরপুর এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছে তারা। এরই মধ্যে একটি চাঁদাবাজির হামলার ঘটনার বিষয়ে ৫ মিনিট ২ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপের গ্রুপ চ্যাটিংয়ে সাজ্জাদুল মিরাজ, হাদিউল ইসলাম রাজীব, গোলাম কিবরিয়া এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত ও মুক্তারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে শোনা যায়। ৫৯ সেকেন্ডের অপর এক ভিডিতে রাজীব নামের একজনের সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতের কথা বলতে দেখা যায়। রাজীব শাহাদাতকে বলতে শোনা যায়, আমি মিরাজ ভাইকে এখনই আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতেছি।</p> <p>জানতে চাইলে ডিএমপি মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মো. মাকছেদুর রহমান বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’  </p> <p>শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে চাঁদাবাজি ও মার্কেট দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, ‘আমি বলব, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। এদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব।’</p> <p><strong>মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে : </strong>এ হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০-২৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ওরফে ইমন (৫২)।</p> <p>মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মুন্না (৪৭), আসিফ ঝন্টু (২৮), এ কে এম চঞ্চল (৪৩), শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী খোকন (৪০), সাইদ আসাদ (৪১), জসিম ওরফে কলা জসিম (৩৫), তুষার ওরফে কিলার তুষার (৩৫), তৌফিক এহসান (৬৩) ও মো. জাহিদ (৪৪)।</p> <p>এ ঘটনায় মামলার ৩ নম্বর আসামি আসিফুল হক আসিফ ওরফে ঝন্টু (৩২) ও কাউসার মৃধা (২৪) নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসিফ শরীয়তপুর ডামুড্যা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হক আকনের ছেলে।</p> <p>কাউসার মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কিসমত শ্রীনগরের মোহাম্মদ হালিম মৃধার ছেলে।</p> <p>নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় এজাহারে বলা হয়, ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে দলবদ্ধ হয়ে মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনসহ অন্য আসামিরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন।</p> <p>আসামিদের চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বাদী ও অন্য ভুক্তভোগী এহতেসামুল হকসহ আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী আইনি সহযোগিতা গ্রহণসহ ব্যবসায়ী ও ছাত্রজনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে অভিযুক্ত আসামিদের চাঁদাবাজি ব্যাহত হয়। মূলত এ কারণেই ভুক্তভোগী এহতেসামুল হকসহ রোষানলে পড়তে হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা ১০ জানুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে নিউ মার্কেট থানাধীন নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) পশ্চিম দিকে রাস্তার ওপর ধারাল ছোরা, চাপাতিসহ দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।</p> <p>এহতেসামুল গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে আসতে থাকলে আসামিদের কয়জন গ্রাউন্ড ফ্লোরের গেটের ভেতরে ঢুকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। কোপের আঘাতে তার গাড়ির কাচসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসামিদের এলোপাতাড়ি চাপাতির কোপে তার সোলজার জয়েন্ট, ডান হাতের কনুই, ডান পায়ের হাঁটু, বাম পায়ের পাতাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনতা এগিয়ে এলে আসামিরা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।</p> <p>এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ ঘটবার আসামি শনাক্তের কাজ চলমান। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।</p>