<p style="text-align:justify">নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়মের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে দুদকের অভিযানিক দল।</p> <p style="text-align:justify">আজ রবিবার সকাল ১১টায় দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, সোহরাব হোসেন সোহেলসহ দুদকের অন্য কর্মকর্তারা।</p> <p style="text-align:justify">দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবাবপত্র ক্রয়, লাইব্রেরিতে বই কেনা, অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি দেওয়া, পানি শোধনাগার বিনষ্ট, কেনাকাটায় অনিয়ম, গেইট ও বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অনিয়মের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই আলোকে আজ অভিযান চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেঞ্চ ক্রয়ের  অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যা নষ্ট হয়ে সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং কমিশনের পরিচালক তুহিন মাহমুদের বিরুদ্ধে কেনাকাটায় অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার সময়ের কেনাকাটার নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম হীরার বিরুদ্ধে ব্যাপক টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘আত্মীয় স্বজনের নামে টেন্ডার নিয়ে কাজ না করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন নজরুল ইসলাম হীরা। গোপালগঞ্জে একাধিক বহুতল ভবনের মালিক তিনি। যা তার আয়ের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক। তারও নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, সেকশন অফিসার পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যার বয়স বেশি। এসব বিষয়ে আমরা প্রধান কার্যালয়কে অবগত করব। দু-একটি বিষয়ে আমরা মামলারও প্রস্তবনা করব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>