<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ ছাড়া তারেক রহমানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদেশের পর আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল করেছিলেন। এই বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। দুই পক্ষের শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ডিসমিসড (খারিজ) করে দিয়েছেন। এর ফলে হাইকোর্টের বাতিলের রায়ই বহাল থাকছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারেক রহমানের আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করেন আজম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। দ্রুত বিচার আইনের এই মামলায় তারেক রহমানের সঙ্গে আসামি করা হয় তাঁর একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকেও। এই মামলার ১৯ দিন পর ২৭ মার্চ একই থানায় এক কোটি ৩২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদেরও এই মামলায় আসামি করা হয়। পরের মাস অর্থাৎ ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় আরো একটি মামলা হয়। এই মামলাটি করেন মীর জহির হোসেন নামের এক ঠিকাদার। এরপর একটি ব্যাবসায়িক প্রকল্পের আয় থেকে লভ্যাংশ দাবি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালের ৪ মে গুলশান থানায় আরেকটি মামলা করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল নামের এক ব্যক্তি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর সেই রুল যথাযথ ঘোষণা অর্থাৎ মামলা বাতিল করে গত ২৩ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৯ ডিসেম্বর এসব লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনগুলো আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এই ধারাবাহিকতায় শুনানির পর হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আদেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুনানিতে তারেক রহমানের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারেক রহমানকে এই চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শ্যোন অ্যারেস্ট) রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে তারেক রহমানের মাজার (কোমর) হাড় ভেঙে ফেলা হয়। এটা কখনো ঠিক হবে না। অথচ মামলার এজাহারে তারেক রহমানের নামই ছিল না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>