<p>ভারতের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কুম্ভমেলা সোমবার শুরু হচ্ছে। আয়োজকরা মনে করছে, ছয় সপ্তাহের এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে ৪০ কোটি পুণ্যার্থী অংশ নেবে। এএফপি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।</p> <p>আয়োজকরা বলছে, কুম্ভমেলার প্রস্তুতির ব্যাপারটা এমন যে তাদের একটা অস্থায়ী দেশ তৈরি করতে হয়েছে। যে দেশে আমেরিকা ও কানাডার সম্মিলিত মানুষের চেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মানুষ বাস করবে।</p> <p>মেলার মুখপাত্র বিবেক চতুর্বেদী বলেছেন, ‘প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি ভক্ত-সাধু মেলায় আসছে। কাজেই বুঝতেই পারছেন প্রস্তুতির ব্যাপারটা কেমন।’</p> <p>চতুর্বেদী বলছেন, ‘প্রায় দেড় লাখ টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে, কমিউনিটি একেকটি রান্নাঘর থেকে একবারে ৫০ হাজার মানুষ খেতে পারবে। মূল অনুষ্ঠানস্থলে ৬৮ হাজার এলইডি লাইট সেট করা হয়েছে, যার আলো আকাশ থেকে দেখা যাবে।’</p> <p>২০১৯ সালে শেষবার যখন আধা কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তখন মেলাতে ২৪ কোটি পুণ্যার্থী অংশ নিয়েছিল। ভারত সরকার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ভারত সরকার কুম্ভমেলাকে ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক মেলবন্ধন হিসেবে ভাবে, যা একটা ছোট্ট ভারতকে তুলে ধরে, যেখানে কোনো ধরনের নিমন্ত্রণ ছাড়াই কোটি কোটি মানুষ আসে।  </p> <p>কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর মোহনায়। যেখানে পুণ্য লাভের আশায় হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে স্নান করে। অনেকে সপ্তাহব্যাপী হেঁটে মেলাস্থলে পৌঁছয়। হিন্দুরা মনে করে, যারা গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর পবিত্র পানিতে স্নান করে মানুষ পাপ থেকে মুক্ত হয়, পুনর্জন্মের চক্র ভেঙে বেরিয়ে যায়, পাপ থেকে পরিত্রাণ পায়।  </p> <p>ইউনেসকো এই কুম্ভমেলাকে আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। অনেক পুণ্যার্থী মেলাতে এসে সরল জীবনের স্বাদ পায়।</p>