<p>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দেয়ালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতীক আঁকানো দেখা গেছে। তবে কে বা কারা বিজেপির প্রতীক এঁকেছেন সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।</p> <p>রবিবার সকালে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দেয়ালে বিজেপির প্রতীক দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এটি এঁকেছেন।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় এখনো জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি। তবে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে ক্যাম্পাসে দাঙ্গা বা বিশৃঙ্খলা তৈরির উসকানি দেওয়ার অংশ হিসেবে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।</p> <p>এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানো অবস্থায় দেখে প্রশাসনকে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।</p> <p>সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদে, মতিহার হলের ছাদে এবং সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে কোরআন শরিফের প্রথম দুই-তিন পারা পুড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পরপরই হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।</p> <p>সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফিরোজ হাসান বলেন, আমার কাছে মনে হয় এটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই উসকানিমূলক একটা ঘটনা। কোনো একটা দল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও আমাদের মধ্যে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্যেই এটা করেছে।</p> <p>সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুনর রশীদ বলেন, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে হল সুপার আমাকে ঘটনা জানায়। কোনো ধর্মের এমন অবমাননা করুক এটা আমরা সহ্য করবো না। হল প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি গঠন করবে</p> <p>ঘটনার বিষয়ে মতিহার হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ভারপ্রাপ্ত যে আছে তার সাথে কথা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।</p> <p>তবে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল কেটে দেন।</p> <p>উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, এটা অত্যন্ত ঘৃনিত কাজ। ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা এটায় কাজ করছে। আমি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান করবো। এ ধরণের ঘৃনিত কাজ যারা করেছে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।</p>