<p>দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা অভিযোগ তুলেছেন, বাসভবন থেকে তাকে উৎখাত করতে চায় বিজেপি। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাড়ি খালি করার নোটিশ পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>এদিন অতিশী অভিযোগ করেন, গত তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার তার জন্য বরাদ্দ ৬, ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বাতিল করা হয়েছে। </p> <p>দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, তখন বিজেপি আমার জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। ওরা আমাদের বাড়ি ছিনিয়ে নিতে পারে, আমাদের কাজে বাধা দিতে পারে, কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করার আমাদের যে আবেগ, সেটা থামাতে পারবে না।’</p> <p>বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হলেও তিনি পিছুপা হবেন না—এমন ইঙ্গিত দিয়ে অতিশী বলেন, ‘প্রয়োজন পড়লে আমি দিল্লির মানুষের বাড়িতে থাকব। সেখান থেকেই দিল্লিবাসীর জন্য কাজ করে যাব।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১৯৯৩ সালের পর দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি আর জেতেনি কেন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/06/1736175368-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১৯৯৩ সালের পর দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি আর জেতেনি কেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/06/1465748" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে দুটি বাসভবনের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে—একটি রাজ নিবাস রোডে, অন্যটি দরিয়াগঞ্জ আনসারি রোডে। তবে এ ব্যাপারে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।</p> <p>এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন সংস্কার নিয়ে তদন্ত চলছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০২০-২২ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কার করানো হয়। অভিযোগ, তার আমলে ৩৩ কোটি ৬৬ লাখ রুপি খরচ করে বাসভবনটি সংস্কার করা হয়। তার মধ্যে শুধু পর্দাই লাগানো হয়েছে ৯৬ লাখ রুপির। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অভ ইন্ডিয়ার (ক্যাগ) প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। এ ছাড়া রান্নাঘরের জিনিসপত্রের জন্য খরচ করা হয়েছে ৩৯ লাখ রুপি। রেশমের কার্পেটের জন্য খরচ হয়েছে ১৬ লাখ ২৭ হাজার রুপি। এসব খরচ নিয়ে বারবার আম আদমি পার্টিকে (আপ) নিশানা করেছে বিজেপি।</p>